নদী ভাঙন
আরাফাত হোসেন
যাক সব ভেসে যাক
প্লাবনের সাথে ভেসে যাক।
মুছাপুর এলাকা বাড়ি সব গুলো।
যেখানে খুশি যতো দূর
নদী ভেঙে নিয়ে যাক।
আমি ও ভেসে যাবো
আমার বাড়ি সাথে।
ওই নদী জোয়ার ভাটা
সাথে আমিও চলে যাবো
নিখাদ বঙ্গোপসাগরে।
বইয়ের জগৎ
কুলসুম আক্তার শারমিন
বইয়ের পাতায় জ্ঞান ভরা,
খুঁজি জ্ঞান পিপাসুরা
রঙিন ছবির দুনিয়াতে,
ঘুরি বেড়াই কল্পনাতে।
বইয়ের সাথে বন্ধু করি,
নতুন কিছু শিখি, জানি।
বই যদি হয় সঙ্গী সাথে,
ভুলে যাই সব দুঃখ তাতে।
পড়তে পড়তে সময় যায়,
বইয়ের মায়া ছাড়া দায়
জীবনের পথে আলো দেয়
বই যে সবার সেরা তাই।
মধুর শৈশব
কুলসুম আক্তার শারমিন
শৈশবের মধুর খেলা,
রঙিন সেই দিন
মায়ের কোলে বসে শোনা
গল্প রঙিন।
প্রজাপতির পাখায় ভেসে
স্বপ্নেরা যায় দূর,
ধুলোমাখা পায়ে ছুটে
মাঠ ঘাট বহুদূর।
পুতুল খেলার ছলে
গড়ি সুখের ঘরবাড়ি,
গোল্লাছুটের দলে মিলে
মায়ার কাড়াকাড়ি।
শীতের মিষ্টি রোদে
উঠোনের এক কোনে
মন হারিয়ে যেত
পিঠা পুলির ঘ্রাণে।
মাটির গন্ধে মাখা
ছেলেবেলার সেই পথে,
হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো
আজো মনকে ডাকে।
বাজে আজ বিজয়ের সুর
মামুন আশ্রাফ
রক্ত গঙ্গার স্রোত ফেরিয়ে
বিজয়ের এলো সৌরব,
বাংলা মায়ের দামাল ছেলে
তোমরা মোদের গৌরব।
লাল সবুজে মুক্তি সেনা ওরে
প্রতিচ্ছবি ভাসে তোদের,
পতন হল আজ পাক হানাদের
হিংসা জুলুম ক্রোধের ।
তোমরা জাতির সোনার ছেলে
জাতির চালিকাশক্তি ,
তোমাদের শত রক্তবিন্দু থেকে
এ জাতি পেয়েছে মুক্তি ।
মা-বোনের লুন্ঠিত ইজ্জত আর
ভাইয়ের বুকের তাজা রক্ত,
মুক্তিবাহিনী তবু থাকেনিতো দমে
হয়েছে আরো বেশ শক্ত।
শাসন শোষণ নিপীড়নের মাঝে
রক্তে আগুন জালালো,
অবশেষে এল সেই কাংক্ষিত ক্ষণ
এদেশ ছেড়ে তারা পাললো।
বেঁচে আছ আজো বীর সেনানী
পতাকার লাল সবুজে,
প্রেরণার আলোই আমারা সবে
তোমাদের নিবো খুঁজে।
শ্রদ্ধার সাথে করছি সরণ মোরা
তোমাদের এই দিনে,
স্বাধীন ভূখন্ড পেতামনা মোরা
তোমাদের রক্ত বিনে ।
নয়টি মাসের সেই যুদ্ধ ছিল আহা
কতনা রক্ত ক্ষয়ী ,
বাঙালি ছিল বীরের জাতি তাই
তারাই হয়েছ জয়ী ।
তোমাদের দেখা সেই পথটি বেয়ে
ছুটে যাবো মোরা বহুদূর ,
লাল সবুজের বিজয় নিশান উড়ে
বাজে আজ বিজয়ের সুর ।
আজকের সময় রিপোর্ট :
কিশোর বয়সে পড়াশোনা করার পাশাপাশি মাদ্রাসায় ইসলামী জলসার আয়োজনে অংশগ্রহণ করে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলের কাছে প্রশংসা পেতে শুরু করেন ইমাম উদ্দিন পিয়াম। ২০১২ সালে ক্লোজআপ ওয়ান নোয়াখালী জেলার মধ্যে সেরা তিনে বিজয়ী হোন। এরপর থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জাতীয় দিবসের কর্মসূচিতে সরব অংশগ্রহণ করেন তিনি।
জীবিকার তাগিদে প্রবাসে পাড়ি দিলে মন থেকে সরে যায়নি সংস্কৃতি। মনের ভালো লাগা থেকে প্রবাসীদের নিয়ে গানটির আত্মপ্রকাশ করা হয়। ইতিমধ্যে বন্ধু, পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।
ইমাম উদ্দিন পিয়ম আজকের সময় কে জানান, ছোটবেলা থেকেই আমার গানের প্রতি খুব আগ্রহ ছিল মানুষ ছোটবেলায় ফুটবল, ক্রিকেট ব্যাট, কিংবা খেলনা এসবের জন্য কান্না করে আর আমি কান্না করতাম একটি গিটার কিংবা হারমোনিয়াম এর জন্য আমার আম্মা বলতো গান বাজলে কোথাও আমি নাকি সেখানে ছুটে যেতাম। আমার গাওয়া গানের কদর ছিল সকলের কাছে।
দাখিল পাস করে আলিম অধ্যয়নকালে ইংরেজি শিক্ষক মনিরুল সাঈদ উৎসাহ দিয়েছিলেন। সেই থেকে গানের প্রতি আরো বেশি মনোযোগ দিয়েছিলাম জীবিকার টানে প্রবাসে পাড়ি দেয়ায় সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাই। হঠাৎ করে কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়া নিজের লেখা সুরে সব প্রবাসী বাড়ি ফিরে, শিরোনামের প্রবাসীদের নিয়ে গানটা আত্মপ্রকাশ হয়।
সবার অনুপ্রেরণা পেলে সংস্কৃতি চর্চা চালিয়ে যেতে চান পিয়াম।
চলন বিলে পদ্ম ফুটিলো
গগনে উঠিলো শশী;
তটিনী হাঁসে তার আবাসে
আমি কুলেতে একা বসি।
কল্লোলে আজ ধ্বণীপূর্ণ
পাতিয়া রাখিযে কান;
হিমেল পরশে বিষ মাখা
হিয়া পিরে পায় যেন প্রাণ ।
চাঁদনি প্রোসর রাত আজি
গগনে চাঁদ উঠে হাঁসি;
ডেউয়ের তালে পদ্ম যেন
বলে তোমায় ভালোবাসি ।
রজনী আজি জোছনা মাখা
নদীর স্রোতে পাতিয়া কান;
হারিয়েছি আমি স্বপ্ন ভেলায়
শুনি কলকাকলির গান।
ভুলিয়া আজি বেদনার বীণ
যাবোনা ঘরে আমি নিশাচর;
স্রোতস্বিনী মোরে গান শুনাবে
সঙ্গী হবে ঐ নিশাকর।
গগন ছেদিয়া তারার অংশু
ঝিকিমিকি করে স্রোতে;
তটিনীর বুকে পদ্ম হাসে
এযেন মোর লাগিয়া ফোটে।
– মামুন আশ্রাফ
বামনীয়া, ৩ নং ওয়ার্ড, কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী
শহর প্রতিনিধি, আজকের সময় :
ফেনীর সবচেয়ে প্রাচীন সাহিত্য পত্রিকা “সোনার হরিণ”
কর্তৃক আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা শনিবার বিকালে শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়ছার সড়কের মিল্লাত কনফারেন্স হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। সোনার হরিন নির্বাহী সম্পাদক কবি সাইরাস চৌধুরী উপস্থাপনায়
এতে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক গীতিকার,সোনার হরিণ প্রধান সম্পাদক কবি মুহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, সোনার হরিণ নিয়ে স্মৃতি চারণ করেন প্রকাশক সাইদুল মিল্লাত মুক্তা, সম্পাদক শাহীন হায়দার, সোনার হরিণ সহযোগী সম্পাদক রাজীব খগেশ দত্ত,একাল সেকালের সাহিত্য চর্চা নিয়ে বিশেষ আলোচনায় অংশ নেন বল পয়েন্ট সাধারন সম্পাদক কবি ইকবাল আলম, কবিতা পাঠ করেন কবি মনজুর তাজিম, শিখা সেন গুপ্তা, স্বদেশপত্র সম্পাদক এন এন জীবন,নাসরিন জেরিন সুলতানা, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি উত্তম দেবনাথ, ফেনীর আচঁল সম্পাদক সাহিদা সাম্য লীনা,কবি ইসহাক মজুমদার, কবি শাহ আলম, মাসিক সপ্তনীল সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, কবি সাইফ ফরহাদী, কবি আবদুল ওয়াদুদ ,সহ ফেনীর নবীন প্রবীন কবি সাহিত্যিক ও সাংবাদিকবৃন্দ।
শহর প্রতিনিধি :
শোককে শক্তিতে করি রুপান্তর গড়িব সোনার বাংলা এ হোক অঙ্গীকার এ শ্লোগান নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো কবিতা ও কথামালায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধান্জলী।
জাতীয় কবিতা পরিষদ ফেনী জেলার আয়োজনে কবি উত্তম নাথের সঞ্চালনায় কবি ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কবি মনজুর তাজিম, এডভোকেট শাহীন মজুমদার, ইকবাল আলম, ওবায়েদ মজুমদার,বাদল দেবনাথ , তাজুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন জামশেদ, উত্তম অরল,শাহ আলম, নাসরিন জেরিন সুলতানা,সবুজ তাপস,ফয়েজুর রহমান,হাসান সাঈদ, ইসহাক মজুমদার ।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গান পরিবেশন করা হয়। পরিবেশনে ছিলেন কবি ইকবাল হোসেন জামশেদ।
আজকের সময় প্রতিবেদক :
যুখরূফ আল মুয়াম্মির সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ (সসাস) কর্তৃক আয়োজিত “সেরাদের সেরা” সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে সংগীত ‘ক’ গ্রুপে ১ম স্থান অর্জন করেছে। অনুষ্ঠানটি নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদীতে অনুষ্ঠিত হয়।
শতাধিক প্রতিযোগীর মাঝে উপজেলা ও জেলা রাউন্ড শেষে ফাইনাল রাউন্ডে সে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেছে। সে ব্যবসায়ী মফিজ উল্যাহ ও শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদাউস সাথীর জৈষ্ঠ্য সন্তান।
সুস্থ সংস্কৃতিকর নান্দনিক বিকাশ ও নৈতিকতা সৃমদ্ধ সমাজ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সেরাদের সেরা খোঁজে সসাস নির্বাহী পরিচালক মোঃ ইস্রাফিল হোসাইন সহ অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।