ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ সর্বদলীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি
গতকাল বুধবার বিকেলে ফেনী জেলা আদালত সংলগ্ন আইনজীবী ভবনে ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ সর্বদলীয় কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক ও পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি একেএম আবদুর রহিম, ইসলামী আন্দোলন ফেনী জেলা সেক্রেটারী মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়া, ফেনী বারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমদাদ হোসাইন, প্রতিরোধ কমিটির ফুলগাজী প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট হানিফ মজুমদার, আত্মার বন্ধন নামে সংগঠনের প্রতিনিধি নাজরানা হাফিজ, নারী সংগঠক জাহান আরা মণি, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার বাদল প্রমুখ।
সভায় বক্তাগণ ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধকল্পে সভা-সমাবেশ, প্রেস কনফারেন্স, লিফলেট বিতরণ, স্কুল-কলেজে সচেতনতামূলক সভা এবং বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য জনগণকে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ছাগলনাইয়া
ফেনীতে তফসিলভূক্ত ব্যাংকের অংশগ্রহনে কৃষিঋণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
সোনালী ব্যাংক পিএলসি কতৃক আয়োজিত কৃষিঋণ বিষয়ক এক
প্রশিক্ষণ কর্মশালা গতকাল ২৭ নভেম্বর,২৪ দিনব্যাপি জেলা
প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত কর্মশালায় ফেনীতে অবস্থিত ৪৬টি ব্যাংকের ডিজি এম
,এজিএম, ম্যানেজার ও ঋণ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কর্মশালাটির
উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের নির্বাহি পরিচালক
আরিফ হোসেন খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি ঋণ
কমিটির সভাপতি ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার সভাপতি ফেনী জেলা
প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক
চট্টগ্রামের পরিচালক মো: আরিফুজ্জামান । এছাড়া লিড ব্যাংক
সোনালী ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: হারুন
অর রশীদ, এ এইচ এম রেজাউল করিম ডিজিএম বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
, যুগ্ম পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের রেজাউল করিম
উপস্থিত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বক্তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের
নির্বাহি পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ব্যাংকারদের প্রধান
কাজ হচ্ছে কাস্টমারের যথাযত সেবা প্রদান করা । এবং কাস্টমারকে
বুঝতে পারা। বাংলাদেশ এখনো শতভাগ কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই
কৃষকদের নানা প্রকার ক্ষুদ্র মাঝারি ঋণ দিয়ে তাদের কে সাবলম্বী করে
তোলা। কিন্তু বেসরকারি ব্যাংক গুলোতে এই ক্ষেত্রে বিমুখতা দেয়া যায়।
শুধু মাত্র ডিপেজিট নয় কৃষকদের কে ঋণ প্রদানে ব্যাংকগুলোকে
আরো উদ্যোগি হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে ব্যাংক।
তাই দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রতি ব্যাংকারদেও অনেক দায়
দায়িত্ব রয়েছে। আমজনতা যাতে ব্যাংক থেকে সেবা পায় সে দিকে
ব্যাংকারদের নজর দিতে হবে।
বাংলাদেশ বর্তমানে ১৮ কোটি মানুষের দেশ । কিন্তু খাদ্য ঘাটতি
নাগালের মধ্যে। এ সাফল্য কৃষকদের। করোনাকালিন সময়ে আমরা যখন
ঘরে, অফিসে বসে ছিলাম, কৃষকেরা কিন্তু তখনও মাঠে ছিল । তাই
নিজেদেও স্বার্থে হলেও কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংক চট্ট্রগ্রামের পরিচালক
আরিফুজ্জামান বলেন, ফেনীতে প্রায় ৭৪ লাখ হেক্টর জমি রয়েছে । এর
মধ্যে একফসলী , দো ফসলি ও তিন ফসলী জমিও রয়েছে। কিন্তু মাত্র ১৮
ভাগ জমিতে চাষাবাদ হয়।
তিনি বলেন বাংলাদেশ হচ্ছে সবুজ ফসলের খেত। ফেনী ও এর ব্যতিক্রম
নয়। তাই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে কৃষকদের কে প্রনোদনা ও ঋণ দিতে
হবে। তিনি বলেন, কৃষিকে বাণিজ্যিক রুপ দিলে দেশ সমৃদ্ধ হবে।
কৃষক যদি তার উৎপাদিত পণ্যের দাম পায় তখন সে নিজেকে গর্ব করে
বলতে পারতো সে কৃষক। তাই কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে
তাদেরকে সুরক্ষা দিতে হবে। শুরুতে সভাপতির বক্তব্য দেন ফেনী জেলা
প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে ছিল প্রশিক্ষণ কর্মশালা তাতে কৃষিঋণ
নীতিমালার উপর প্রশিক্ষন দেন, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের যুগ্ম
পরিচালক রেজাউল করিম।
কৃষি ঋণ বিতরণে কৃষক/ গ্রাহক নির্বাচন , ঋণ প্রক্রিয়াকরণ ও
বিতরণ বিষয়ে প্রশিক্ষন ছিলেন সোনালী পিএলসির ডেপুটি
জেনারেল ম্যানেজার মো: হারুন অর রশীদ। কৃষিঋণ সুপারভিশন,
ফলোআপও রিকভারী বিষয়ে প্র২ি০২২
৬+৮শক্ষন দেন এ এইচ এম রেজাউল করিম,
ডিজিএম বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।
আজকের সময় প্রতিবেদক :
ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মনুরহাট ইসলামী পাঠাগার এর ২০২৫-২০২৭ সেশনের জন্য ০৩ বছর মেয়াদি নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে গত ০২ নভেম্বর ‘২৪ শনিবার বিকাল ৪ টা থেকে মনুরহাটে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডাঃ কফিল উদ্দিনের সঞ্চালনায় মাওলানা আজিজুল্লাহ’র সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ফেনী সরকারী কলেজ এর প্রিন্সিপাল প্রফেসর এনামুল হক খোন্দকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীকন মডেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম মাছুম বিল্লাহ, মনুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি হাসান মাহমুদ, পাঠাগার এর উপদেষ্টা আজাদ হোসেন, মাষ্টার মোতাহের হোসেন লিটন। আরো বক্তব্য রাখেন খুরশিদ আলম মজুমদার, মোমিন হোসেন ভূঁইয়া, মোঃ হানিফ, মাওলানা ছেরাজুল হক প্রমুখ।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত মনুরহাট ইসলামী পাঠাগারের অদ্যকার সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রফেসর এনামুল হক খোন্দকার কে প্রধান উপদেষ্টা করে প্রায় ৩০ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়।
উপদেষ্টা পরিষদ এর পরামর্শ করে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভাপতি – মাওলানা আজিজুল্লাহ, সহসভাপতি – ডাঃ কফিল উদ্দিন, হাজী ফয়েজ উল্লাহ, তোয়ালেব মাহমুদ পবন, মাষ্টার আবুল কালাম,
সাধারণ সম্পাদক – এস এম মাছুম বিল্লাহ, সহ সাধারণ সম্পাদক – খুরশিদ আলম মজুমদার, কোষাধ্যক্ষ – মোমিন হোসেন ভূঁইয়া, সহ কোষাধ্যক্ষ – রহমত উল্লাহ সহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক – আজিজুল্লাহ মানিক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক – মোঃ ইসমাইল, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক – তানভীর আহমেদ নিশাত, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক – মোহাম্মদ ইউনুস, সহ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক – ডাঃ নুর হোসেন জুয়েল, ক্রীড়া সম্পাদক – মেহেদী হাসান পাটোয়ারী, সহ ক্রীড়া সম্পাদক – মোহাম্মদ মাসুদ, ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক – মোঃ হানিফ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক – জিয়াউল হক মজুমদার, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক – ডাঃ সাইফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক – আতিক রনি, সহ দপ্তর সম্পাদক – মোজাম্মেল হক খোন্দকার, ধর্মীয় সম্পাদক – মাওঃ নুরুল আফছার, সহ ধর্মীয় সম্পাদক – মাওঃ শাহাদাত হোসেন সবুজ, ত্রান ও পুনর্বাসন সম্পাদক – মোঃ জাবেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক – ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, কৃষি সম্পাদক – আব্দুল হালিম মজনু, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক – কফিল উদ্দিন চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক – এডভোকেট বাহার উদ্দিন কিরণ, মহিলা ও ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক – মাও মুনির উদ্দিন, আইন সম্পাদক – এডভোকেট মাহবুব মোর্শেদ তারেক, কার্যকরী সদস্য – মাওঃ জসিম উদ্দিন, ওসমান গনি নিশান, সামছুল আলম পাটোয়ারী।
সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত এর মাধ্যমে নতুন অফিস উদ্বোধন করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, আজকের সময় :
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ফেনীর ছাগলনাইয়া থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ ও ফেনী পৌরসভা থেকে লুট হওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গত তিন ধরে এসব উদ্ধার কার্যক্রম চলমান আছে। বাকি মালামাল ফেরত দিতে রবিবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আনসার ও ভিডিপি সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে ২টি অস্ত্র ও থানা পুকুর থেকে ১টি অস্ত্র, ৪ রাউন্ড রাবার কার্তুজ, ৪ রাউন্ড সীসা কার্তুজ, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত অস্ত্রের ৪টি অংশ, একটি ভাঙা গুলির বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। ছাগলনাইয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা এসব অস্ত্র উদ্ধার করেন। অস্ত্রগুলো বর্তমানে জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় হেফাজতে রয়েছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে তিনটি মনিটর, তিনটি কি-বোর্ড, একটি সিপিউ, ৫০টি প্লাস্টিকের চেয়ার, ৮টি কাঠের চেয়ার, ৯টি আলমারি, ৪টি রিপাবলিক চেয়ার, ৩টি ফ্যান, একটি টিভি, ২টি ফ্রিজ, তিনটি টেবিল, একটি এসি, ৩টি কেবিনেট, একটি স্ক্যানার, ২টি প্রিন্টার ও শহীদ মিনারের দুইটি গেট উদ্ধার করা হয়েছে। পৌর এলাকাগুলোতে গিয়ে যুবদল-ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসব জিনিসপত্র উদ্ধার করেন।
অস্ত্র ও মালামাল উদ্ধারের বিষয়টি জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যন্ট মো. হেলাল উদ্দিন ও ফেনী পৌরসভার কর নির্ধারক মোহাম্মদ হানিফ নিশ্চিত করেন।
স্টাফ রিপোর্টার, আজকের সময় :
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফেনী ল’ কলেজ থেকে অংশ নিয়ে সফলতার সাথে তিনি এই ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
গত ৫ মে এলএলবি চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। নাজিম উদ্দিন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ছাগলনাইয়া উপজেলায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
তিনি নোয়াখালী কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট থেকে কৃষি ডিপ্লোমা, পরবর্তীতে ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচার এডুকেশন (বিএজিএড) ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, আজকের সময় :
ভিআইপি আসন খ্যাত ফেনী-১ । বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফেনী-১ (ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া)থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ আসনের প্রত্যন্ত অঞ্চল চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। সকাল-বিকাল প্রত্যন্ত অঞ্চল চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। গণসংযোগের সময় দোকানপাট ও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নারী-পুরুষকে কেন্দ্রে গিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অবিরাম এ প্রচারণায় দলীয় নৌকার পালে হাওয়া লাগতে শুরু করেছে।
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম গণসংযোগকালে বলেন, ৭ জানুয়ারি সবাই দলবেঁধে ভোট দিতে যাবেন। আমায় যত বেশি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন তত বেশি উন্নয়ন হবে। ভোট বেশি হলে এমপির ওজন বাড়ে। কম ভোট পেলে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন বরাদ্দ কম দিতে পারেন। উন্নয়নে কোনো দল নাই। বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্য সব রাজনৈতিক নেতা যেন ভোটকেন্দ্রে যান এ ব্যাপারে সবাই অনুরোধ করবেন।
ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের জগতপুর ও বসন্তপুর এলাকার ব্যবসায়ী এবং যুবকসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন আলাউদ্দিন নাসিম।
ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে একাধিক মামলার আসামী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি, আজকে সময় :
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাইফুল ইসলাম নামে এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। রোববার রাতে উপজেলার বল্লভপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সাইফুল ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর মন্দিরা গ্রামের সাহাব মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার বল্লভপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এদিকে পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম জানান, এ ঘটনায় এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ফেনী প্রতিনিধি :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। গত ১০ বছরে দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকাকালীন তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে কয়েকগুণ। সঙ্গে বেড়েছে ঋণের পরিমাণও। শিরীন আখতার এমপি দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য হন।
২০১৪ সালে ফেনী-১ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হওয়া শিরীন আখতারের নির্বাচনের হলফনামায় ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি উল্লেখ ছিল। ৫ বছর পর ২০১৮ সালের নির্বাচনে হলফনামায় তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সম্পত্তি ছিল ১ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯০ টাকা। যা আগের ৫ বছরের তুলনায় তিনগুণ বেশি ছিল।
এবারের হলফনামার তথ্যানুযায়ী, শিরীন আখতারের অস্থাবর সম্পত্তির মাঝে নিজের নামে ৫২ লাখ ৯৫ হাজার ৪৬০ টাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ৬০৯ টাকা। তিনি কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় করেন ২ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা।
২০১৮ সালের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, শিরীন আখতারের গাজীপুরে ৯ লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ টাকা মূল্যের ৬২ শতাংশ জমি, ধানমন্ডি ও ফেনী শহরে সাড়ে ১৯ লাখ টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট ছিল। এফডিআর ও সঞ্চয় প্রকল্পে রাখা ছিল ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯১ টাকা। তার মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে আয় করেছেন সাড়ে ২৩ লাখ টাকা। আয়ের খাতে কৃষি থেকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৫৫০ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয় ও ব্যাংক আমানত থেকে ২ লাখ ২২ হাজার টাকা ছিল। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৮৭ টাকা। বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ছিল ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯১ টাকা।
ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা শহরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের লাঠির আঘাতে মো. হারুন (৫৫) নামের এক লাইনম্যানের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে অটোরিকশাচালক বেলাল হোসেনকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ।
নিহত হারুন ছাগলনাইয়া পৌর শহরের হাজীপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
আটক বেলাল নোয়াখালীর সুধারাম থানার ধর্মপুর গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে। দীর্ঘদিন তিনি ও তার ছেলে বাপ্পি ছাগলনাইয়া শহরে ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিকশা চালাতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আবসার জানান, হারুন দীর্ঘদিন যাবত ফেনী-ছাগলনাইয়া সিএনজি রুটে ছাগলনাইয়া স্ট্যান্ডে লাইনম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। রোববার বেলা আড়াইটার দিকে সিএনজির সিরিয়াল নিয়ে চালক বেলালের সঙ্গে লাইনম্যান হারুনের বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে বেলাল ও তার ছেলে বাপ্পি একজোট হয়ে হারুনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে হারুন মাটিতে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় পলাশ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাৎক্ষণিক ঘটনায় অভিযুক্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক বেলাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুরে বোনকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের ছুরিকাঘাতে রবিউল হক সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১ জুলাই) নিহত সাঈদের মা বিবি মরিয়ম বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে। এর মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেফতার ১০ জন হলেন- নেত্রকোনার বনগাঁও গ্রামের একদিল মিয়ার ছেলে ও ছাগলনাইয়ার চম্পকনগর এলাকার কাজী বাড়ির জামাতা রফিকুল ইসলাম (২২), ছাগলনাইয়ার চম্পক নগর এলাকার জেরু মিয়ার ছেলে বেলাল হোসেন শুভ (২২), একই গ্রামের রবিউল হকের ছেলে রুবায়েত হোসেন রাফি (১৯), একই গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে শেফাউল করিম রিহান (২২), বোরহান উদ্দিনের ছেলে গোফরান উদ্দিন (৩০), নাসির উদ্দিনের ছেলে মেহেরাব হোসেন সায়েম (১৮), মজিবুল হকের ছেলে নাসির উদ্দিন (৪২), জসিম উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম রাকিব (২১), আবু তাহেরের ছেলে ইকবাল হোসেন সাব্বির (২৫) ও নোয়াখালীর চরজাব্বার থানার সমিতি বাজার এলাকার ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে মো. ইমাম হোসেন (২২)।
পলাতক দুই আসামি হলেন- চম্পকনগর এলাকার ওবায়দুল হকের ছেলে মো. নয়ন (২০), এরশাদ উল্লাহর ছেলে মো. শাকিল।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিদর্শক সুদ্বীপ রায় গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অন্য আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।