ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীতে পৃথক দুইটি মাদকের মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২জুন) দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসূফ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রায় ঘোষণার সময় তারা দুইজনই অনুপস্থিত (পলাতক) ছিলেন। তারা যখন গ্রেপ্তার বা আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন তখন থেকে রায় কার্যকর হবে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-মো. মোশাররফ হোসেন (৫৮)। তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বাঁশপাড়া (নতুন পাড়া) এলাকার বাসিন্দা। অপরজন হলেন মো. সহিদ উল্যাহ (৫০)। তিনি ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের গিল্লাবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের গিল্লাবাড়ীয়া সীমান্ত চৌকির বিজিবি সদস্যদের হাতে ২১ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হয় আসামি মো. সহিদ উল্যাহ। এ ঘটনায় বিজিবির গিল্লাবাড়ীয়া চৌকির হাবিলদার মো. আবদুল হান্নান বাদী হয়ে ফেনী সদর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) যোবাইদুন নাহার ওই একই বছরের ৫ মে আদালতে একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় মোট ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে একমাত্র আসামি মো. সহিদ উল্যাহকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
অপর মামলায় ফেনীর ছাগলনাইয়া থানার বাঁশপাড়া (নতুন পাড়া) এলাকায় গত ২০১৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ছাগলনাইয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলা উদ্দিন বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। একই বছর ১৪ মার্চ ছাগলনাইয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা তদন্ত শেষে একমাত্র আসামি মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারক রায় ঘোষণা করেন। এতে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দিজেন্দ্র কুমার কংশ বনিক জানান, আসামিরা গ্রেপ্তারের পর জামিনে ছাড়া পেয়ে পলাতক হয়ে যায়। রায় ঘোষণার সময় দুই মামলার দুই আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় আদালত দুইজন আসামিকে পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।