কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি, আজকের সময় :
সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ন্যূনতম ১১ গ্রেড, ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড সমস্যা সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবিতে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণ সহকারি শিক্ষকদের নিবন্ধিত সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে “প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ” কর্তৃক ঘোষিত কর্মবিরতি পালন করছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, সকাল নয়টা থেকে বারোটা পর্যন্ত সারা দেশের ন্যায় তারাও এই কর্মবিরতি পালন করছেন। বিভিন্ন সহকারী শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দাবি আদায়ে তাদের নিবন্ধিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মবিরতি পালন করছেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এস- ১২০৬৮ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি, দক্ষিণ পশ্চিম চরফকিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক একরামুল হক জানান, সহকারি শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে দীর্ঘদিন যাবত আলোচনা, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান ও সমাবেশের মাধ্যমে আমাদের যৌক্তিক দাবি কর্তৃপক্ষের নিকট তুলে ধরা হয়েছে কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিচ্ছেন না,তারা শুধু আমাদেরকে আশ্বাসে বিশ্বাস করাতে চায়। তাই সহকারি শিক্ষকদের নিবন্ধিত সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ঐক্য পরিষদ কর্তৃক এই কর্ম বিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এস- ১২০৬৮ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সিরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: নুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণ চরম বৈষম্যের শিকার। আমরা এই বৈষম্য থেকে মুক্তি চাই। তিনি বলেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ১১তম বেতন গ্রেড নির্ধারণের করা আমাদের দাবী। কেন্দ্র ঘোষিত যেকোনো কর্মসূচি আমরা পালন করছি।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এস- ১২০৬৮ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থানারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ২০২৪ সালের জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মুহাম্মদ আবদুল্যাহ নয়ন জানান ২০০৯ সালের পে-স্কেলে চাকুরীর ১৫ বছরে তিনটি টাইম স্কেল ছিল, ২০১৫ সালের অষ্টম পে-স্কেল সেটাকে বাদ দিয়ে ১০ ও ১৬ বছরে দুইটি উচ্চতর স্কেল করা হয় কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা সেই দুইটা উচ্চতর স্কেল ও পাচ্ছেন না তাই ১০ বছর ও ১৬ বছর পুর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন করতে হবে। প্রাথমিকে বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রেজুয়েট সম্পন্ন করা মেধাবী শিক্ষকরা যোগদান করছে কিন্তু এখানে জব সেটিশপেকশন না থাকার কারণে কিছু দিন শিক্ষকতা করার পর অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।
দাবি আদায় না হলে আগামী ২৬ মে থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি শুরু হবে। নেতৃবৃন্দ কোম্পানীগঞ্জের সকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক- শিক্ষিকাকে এই দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রের ঘোষিত কর্মসূচী অব্যাহত রাখার আহবান জানান। এর আগে গত ৫ মে থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে আন্দোলন-কর্মসূচি শুরু হয় এবং ১৫ মে পর্যন্ত এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন তারা। ১৬ মে থেকে শুরু হয় প্রতি কর্মদিবসে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি। ঘোষণাকালে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি (এস-১২০৬৮) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি একরামুল হক, সিনিয়র সহ- সভাপতি ফয়েজ আহম্মেদ, যুগ্ম সম্পাদক মো: নুরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল্যাহ নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসেম, কোষাধ্যক্ষ মো: দেলোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফয়েজ উল্যাহ, শিক্ষক নেতা নুরুজ্জামান সহ অন্যান্য শিক্ষক নেতৃবৃৃন্দ