মোঃ মহি উদ্দিন :
পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলমানদের দ্বিতীয় উৎসব। আর মাত্র কয়েক দিন পরেই উদযাপন করা হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।চাঁদ দেখা মাত্র চর্তুরদিকে গুঞ্জন চলছে কোরবানি নিয়ে।বাড়িতে বাড়িতে চলছে শরিকদারদের আলাপ আলোচনা। অনেকেরই মতে বেশি দামে ক্রয় করা যাবে না।তার পরেও জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট। খামারিরা হচ্ছে বাজার মূখী।আরও কয়েক দিন সময় থাকায় বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা একটু কম।গতকাল ৩ জুলাই পরশুরাম উপজেলা সর্ববৃহৎ পশুর হাট পরশুরাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে বিপুল সংখ্যাক গরু দেখা গেলেও নেই তেমন ক্রেতা। দুই একটা বিক্রি হলেও দাম নিয়ে স্বস্তি ক্রেতারা। পরশুরাম বাজারে দেশীয় গরুর পরিমাণ বেশি দেখা যায়।অন্য দিকে গোখাদ্যের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এমনিতেই খামারিরা হিমশিম খাচ্ছে বলে জানান খামারীরা । দ্রুত বিক্রি করার জন্য আগ্রহ দেখা যায়। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন খামারী ফেনীর সময় কে জানান, গোখাদ্য দাম হিসেবে গরুর দাম তেমন নেই।এভাবে হলে ভবিষ্যতে খামারিদের সংখ্যা কমে যাবে। চাঁদ দেখা যাওয়ার পর অনেকের মাঝে আগ্রহ নিয়ে বাজারে আসতে দেখা যায়। তেমন বেশি গরু বিক্রি না হলেও দরকষাকষি করতে দেখা যায়। বিশ্ব মহামায়া করোনা পাদুর্ভাবের কারণে মানুষের হাতে তেমন টাকা পয়সা নেই। যারা আগের বছর লক্ষ টাকার উপরে গিয়ে গরু কিনতে দেখা গেছে বর্তমানে তাদের চাহিদা লক্ষ টাকার চেয়ে অনেক কম দামে গরু কিনার চিন্তা করছেন। ।বড় গরু চেয়ে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। গতকাল পরশুরাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আবদুল হাই কুসুম লাল রঙের দুটি বড়ো ষাঁড় নিয়ে আসেন গোখাদ্য দাম বেশি থাকায় বেশী থাকায় বেশী লাভের আশা না করে ৪,১০,০০০ (চার লক্ষ দশ হাজার টাকা) টাকা বিক্রি করে দেন। তিনি বলেন লাভ তেমন না হলেও খরচ উঠে এসেছে। আল্লাহ বাঁচাইচে আমারে।আল্লাহ,আল্লাহ। হাটের ইজারাদার সুজন বলেন পশুর সংখ্যাক বেশি থাকলেও তেমন উপস্থিত নেই ক্রেতা।সন্ধায় পর্যন্ত ৫০/৬০ এর বেশির গরু বিক্রি হয় নি। খামারী জামাল উদ্দিন বলেন, গরু যে পরিমাণ দেখা যায় বেচা বিক্রি তেমন নেই । একসময় গরু বাজারে কিছু দালাল দেখা গেলেও বর্তমানে তেমন দালাল নেই বললে চলে। দালালের কারণে বাজার সরগরম দেখাযেত।বেশির ভাগ ক্রেতারা ঘুরাঘুরি করে চলে যায়।