আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, নোয়াখালী :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন মানে আগুন সন্ত্রাস। জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি জানান দিচ্ছে তারা আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান যুক্ত করবে। মানুষ আতঙ্ক গ্রস্থ। আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা অশান্তি চাইনা।
শুক্রবার (২ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভার্চুয়ালি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট এ.এইচ.সি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান বলে হাসিনা পালাবে, মন্ত্রীরা পালাবে। কিন্তু সে যে ১৪বছর পালিয়ে আছে সে কথা বলেনা কেনো?
২০০৮ থেকে পলাতক তারেক রহমান বলে হাসিনা পালাবে। শেখ হাসিনাও বলেনা। এত বেয়াদব। আমরা বেগম খালেদা জিয়া বলি। সম্মানের সাথে নেত্রীর নামটা উচ্চারণ করেনা। ১৯ বছর যিনি ক্ষমতায় আছেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনাকে ২১ আগস্ট মারতে চেয়েছেন। জিয়উর রহমান মেরেছে বঙ্গবন্ধুকে। মুফতি হান্নান বলেছে হাওয়া ভবন থেকে তারা নির্দেশ পেয়ে গ্রেনেড হামলা করেছে। তারেক রহমানের লোকেরা এখনো আমাদেরকে ভয় দেখান, তারেক রহমান আসবে বীরের মত। কাপুরুষের মত যে পালিয়ে গেছে। সে বীরের মত আসবে। এত বছরে যা ঘটল না। এখন ঘটবে সেটা বিশ্বাস হয়না।
সেতুমন্ত্রী বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যেখানে পাকহানাদার বাহিনীরা আত্মসমর্পণ করেছে। দুনিয়ার ইতিহাসে অন্যতম সেরা ভাষণ, স্বাধীনতার ডাক, সেই স্মৃতি যেখানে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ভয় কেন। তারা যে মনে মনে চেতনায় হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেননা এটাই তার প্রমাণ। পল্টনে কয়টা লোক ধরবে। ছোট্র জায়গায় যাবে অঘটনের ভয়ে ফখরুল বলছে। অঘটন কে ঘটাবে। বিআরটিসির গাড়ি পুড়িয়ে অঘটন কে ঘটাবে আপনারাই জানিয়ে দিলেন কারা অঘটন ঘটাতে পারে।
তিনি বলেন, আজকে একটা ভিডওি ক্লিপ পেলাম। পুরান ঢাকার এক তরুণ নেতার সাথে কনভারসেশন অর্থ পাচারে দন্ডিত তারেক রহমানের সাথে। এ সময় সেতুমন্ত্রী কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে ঘটে যাওয়া সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খায়রুল আনম সেলিম। এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁন। সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, এস.এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের কৃৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, যুগ্ম-আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন,শহীদুল্লাহ খাঁন সোহেল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন প্রমূখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা কে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
এবং সেতুমন্ত্রীর ভাগিনা মাহবুব রশিদ মঞ্জুকে বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল কে পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।