ফেনী প্রতিনিধি, আজকের সময় :
ফেনী সদর উপজেলার সেচ্ছাসেবী সংগঠন মধুয়াই ফাউন্ডেশন উদ্যোগে ফেনী উপজেলার ০৭নং বালিগাঁও ইউনিয়নের মধুয়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্রদের মাঝে মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরন করা হয়।
উক্ত শিক্ষা উপকরণ প্রোগ্রামে মধুয়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিনার উদ্দিন মজুমদার সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আইয়ুব উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন মধুয়াই উচ্চ বিদ্যালয় এর সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, মধুয়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বৃন্দ সহ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মধুয়াই ফাউন্ডেশনের এডমিন সাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া, পিংক সিটির স্বত্বাধিকারী সোহেল আহম্মদ, আরো উপস্থিত ছিলেন উক্ত সংগঠনের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সজীব, পারভেজ, লিমন সহ সদস্যবৃন্দ।
প্রাথমিক
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক- ২০২৪ এ নোয়াখালী জেলায় শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন মুহাম্মদ আবদুল্যাহ নয়ন।
তিনি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থানারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ২০১৪ সালে যোগদানের পর থেকে তিনি অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আসলে শ্রেষ্ঠ হওয়ার জন্য কখনও কোনো কাজ করিনি। নিজের পেশাগত দায়িত্ব, কর্তব্য ও ব্যক্তিগত আনন্দ থেকেই কাজ করি। পরিস্থিতি যেমনি হোক পেশাগত দায়িত্বকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমার পেশা নিয়ে আমি অনেক গর্বিত। সকল শিক্ষার্থী আমার নিজের সন্তানের মতো। দিনের সেরা সময়টুকু আমি আমার শিক্ষার্থীদের সাথে শ্রেণিকক্ষে উপভোগ করি। ওদের বুকভর্তি নিখাঁদ ভালোবাসা। এত মুগ্ধতা আর বিশুদ্ধতার আনন্দ পৃথিবীর কোথাও নেই।
একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমার শিক্ষার্থীদের যোগ্য, দক্ষ বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নই আমার একমাত্র অঙ্গীকার। শ্রম, কর্ম, আর আন্তরিকতা দিয়ে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করে যেতে চাই, সকলের দোয়াও ভালোবাসা প্রত্যাশী।
তিনি একজন মেধাবী শিক্ষক হিসেবে সুপরিচিত। ইতোমধ্যে তিনি পেশাগত ও লেখালেখিতে সর্বমহলে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি ২০২৩ সালেও উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে জেলা প্রর্যায়ে অংশ গ্রহণ করেছেন। তিনি ২০২৩ সালে বাংলা বিষয়ভিত্তিক মাস্টার ট্রেইনার ও নির্বাচিত হয়ে কুমিল্লা পিটিআইতে সফলতার সহিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে উপজলেয়া পর্যায়ে এসে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
একাধারে লেখক ও ছড়াকার । প্রাথমিক শিক্ষা ও আর্থসামাজিক বিষয় নিয়ে তার কয়েকটি লেখা প্রকাশ হয়েছে। প্রতিনিয়ত শিক্ষা বিষয়ক ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ে জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় কলাম এবং প্রবন্ধ লিখে থাকেন। তার লেখনী এরইমধ্যে শিক্ষক সমাজের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রিধারী। পেশাগত প্রশিক্ষণ ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩.৫৯ পেয়ে মাইজদী পিটি আই এর ১০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষে ২০৪ জনের মধ্যে ১১তম স্থান অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি আইসিটিতে দক্ষ শিক্ষক হিসেবেও বেশ পরিচিত।
প্রায়োগিক শিক্ষার বিস্তারে ও যথাযথভাবে শ্রেণিকার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও তার যথাযথ স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
নোয়াখালী জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় তিনি সকল শিক্ষক-সহকর্মী, জেলা-উপজেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মা-বাবা ভাই, স্ত্রী-কন্যাসহ শুভানুধ্যায়ী সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং সকলের দোয়া চান, যাতে আগামী দিনগুলোতে উত্তরোত্তর সফলতা বজায় রাখতে পারেন।
২০২৪ সালে জেলায় শ্রেষ্ঠত্বের পদক প্রাপ্ত অন্যান্য শিক্ষকরা হলেন- শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট এসএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জনাব কুলসুম আক্তার শারমিন। শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হলেন সেনবাগ উপজেলার কাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আল আমিন। সুকান্ত নন্দী। শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা হলেন লাকী সাহা। তিনি প্রধান শিক্ষক, নওয়াবগঞ্জ,সোনাইওমুড়ীতে কর্মরত আছেন। শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক রতন মিশ্র ভৌমিক, সহকারী শিক্ষক,গণিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেগমগঞ্জ।
শ্রেষ্ঠ কর্মচারি নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ মহিন উদ্দিন, কম্পিউটার অপারেটর,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, নোয়াখালী। শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা অফিসার হলেন সিদ্দিকুর রহমান খান। তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসার,সদর,নোয়াখালী। শ্রেষ্ঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে সেনবাগ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেনবাগ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনছুর আলী চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পদক কমিটির সভাপতি হিসেবে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ ও সদস্য-সচিব মনছুর আলী চৌধুরী ও অন্যান্য সদস্যদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এই বাছাই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়।
ডেস্ক রিপোর্ট, আজকের সময় :
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৪ এ ফেনী জেলায় শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন গাজী আরিফ মান্নান। এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসূত্রে। প্রাথমিকে শিক্ষকতায় জেলা পর্যায়ে এটাই সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। শিক্ষক গাজী আরিফ মান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানিয়েছেন উপজেলা পর্যায়ের সকল বিজয়ীদের ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ অফিস আদেশে বিজয়ী হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হয়েছেন।
তিনি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি একজন মেধাবী শিক্ষক হিসেবে সুপরিচিত। ইতোমধ্যে তিনি পেশাগত ও লেখালেখিতে সর্বমহলে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি একাধারে ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক। তার দুইটি একক গ্রন্থ প্রকাশনা রয়েছে। প্রতিনিয়ত শিক্ষা বিষয়ক ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ে জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় কলাম এবং প্রবন্ধ লিখে থাকেন। তার লেখনী এরইমধ্যে সারাদেশের শিক্ষক সমাজের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
তিনি হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী। পেশাগত , বি-এড (প্রথম শ্রেণী) ও ডিপি-এড ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি আইসিটিতে দক্ষ শিক্ষক হিসেবেও বেশ পরিচিত।
প্রায়োগিক শিক্ষার বিস্তারে ও যথাযথভাবে শ্রেণিকার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও তার যথাযথ স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় তিনি সকল শিক্ষক-সহকর্মী, জেলা-উপজেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মা-বাবা ভাই, স্ত্রী-কন্যাসহ শুভানুধ্যায়ী সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং সকলের দোয়া চান, যাতে আগামী দিনগুলোতে উত্তরোত্তর সফলতা বজায় রাখতে পারেন।
এর আগে তিনি ২০২৪ সালে ফুলগাজী উপজেলায়ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
২০২৪ সালে জেলায় শ্রেষ্ঠত্বের পদক প্রাপ্ত অন্যান্য শিক্ষকরা হলেন-
শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা হলেন জ্যোৎস্না আরা বেগম তিনি ইয়াকুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাগনভূঁঞা।
শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হলেন সুকান্ত নন্দী, তিনি প্রধান শিক্ষক বাঁশপদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরশুরাম।
শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা হলেন কাউছারা আক্তার, তিনি প্রধান শিক্ষক, বাগডুবি সপ্রাবি, দাগনভূঁঞা।
শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক শেখ মো: শাহ আলম, উত্তর পশ্চিম চরচান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনাগাজী।
শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হলেন মোহাম্মদ আবদুল মোতালেব, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফেনী সদর। তার বাড়ি গ্রাম-বাতানিয়া, ডাকঘর-সেনবাগ, উপজেলা-সেনবাগ, জেলা-নোয়াখালী।
শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা অফিসার হলেন নজরুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সোনাগাজী। তার বাড়ি গ্রাম-লক্ষীপুর, ডাকঘর-হাটশীরা উপজেলা-কাজীপুর, জেলা-সিরাজগঞ্জ।
শ্রেষ্ঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে বালুয়া চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফেনী সদর।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানান। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পদক কমিটির সভাপতি হিসেবে ফেনীর জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার ও সদস্য-সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ ও অন্যান্য সদস্যদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এই বাছাই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়।
জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানা যায়।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষায় ফলপ্রসূ শিখন পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা
কুলসুম আক্তার শারমিন :
প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য একটি কার্যকর শিখন পদ্ধতি নিশ্চিত করা বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যারা তাদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সামগ্রিক বিকাশের অধিকার রাখে। তবে, তাদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান করতে হলে বিশেষভাবে পরিকল্পিত একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমত, শিশুদের জন্য একটি ব্যক্তিগত শিক্ষার পরিকল্পনা তৈরি করা অপরিহার্য, যার মাধ্যমে তাদের শারীরিক এবং মানসিক চাহিদা অনুযায়ী বিশেষ শিক্ষার লক্ষ্য ও উপকরণ নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি, শ্রেণীকক্ষে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেমন সরল ভাষায় পাঠদান, ভিজ্যুয়াল সাহায্য এবং শ্রেণীকক্ষের বিন্যাস পরিবর্তন, শিশুদের শিক্ষার প্রক্রিয়া সহজ করতে সহায়ক। এছাড়া, প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন বিশেষায়িত শিক্ষামূলক সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয় ও কার্যকরী করে তুলতে পারে। তবে, এসব কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষিত শিক্ষক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য প্রশিক্ষিত শিক্ষক তাদের আচরণ ও শিখন ক্ষমতা বুঝে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম হন। এ ছাড়া, অভিভাবকদের সক্রিয় অংশগ্রহণও অপরিহার্য; তারা শিক্ষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে শিশুর অগ্রগতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানাতে পারবেন। সমাজের অন্যান্য সদস্যদেরও এই বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য অবকাঠামো ও প্রশিক্ষণের অভাব, শিক্ষামূলক উপকরণের সীমাবদ্ধতা এবং সামাজিক সচেতনতার অভাব রয়েছে। তবে, সরকারের উদ্যোগ, বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। একটি কার্যকর শিখন পদ্ধতি বাস্তবায়ন করে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জীবনের মানোন্নয়ন ও তাদের সমাজে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব, যা সমাজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে তাদের সম্ভাবনাকে পূর্ণাঙ্গভাবে কাজে লাগানো আমাদের সকলের দায়িত্ব।
লেখক : কুলসুম শারমিন। সহকারী শিক্ষক। বসুরহাট এস এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
দাগনভূঞা প্রতিনিধি, আজকের সময় :
সরকার অনুমোদিত স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন প্রধান শিক্ষক ফারুক ভূঞা মেমোরিয়াল যুব ফাউন্ডেশনের আয়োজনে দাগনভূঞা উপজেলার বিজয়পুর ইসলামিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরন মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
এফবিএম ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও বিজয়পুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান একরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ ইফতেখার উদ্দিন।
প্রধান শিক্ষক ফারুক ভূঞা মেমোরিয়াল যুব ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাংবাদিক এম শরীফ ভূঞার পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দুধমুখা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ তাজ উদ্দিন, চৌদ্দগ্রাম আলকরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা শামীম হোসেন, ফেনী সাংবাদিক ইউনিটির কোষাধ্যক্ষ আহসান উল্যাহ, বিজয়পুর মাদ্রাসা প্রধান আমিরুল ইসলাম, পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক শিমুল, দাগনভূঞা প্রেসক্লাবের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আতিকুল ইসলাম বাদল, ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আজকের সময় ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আবদুল আজিজ সায়েম প্রমুখ।
বিজয়পুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান একরামুল হক কে ২০২৪ সালের এফবিএম পদক প্রদান করা হয়। শেষে অতিথিবৃন্দ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে খাতা, কলম ও ব্রাশ সহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ উপহার তুলে দেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
সরকার অনুমোদিত স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন প্রধান শিক্ষক ফারুক ভূঞা মেমোরিয়াল যুব ফাউন্ডেশনের আয়োজনে দাগনভূঞা উপজেলার বিজয়পুর ইসলামিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরন মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
এফবিএম ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও বিজয়পুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান একরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ ইফতেখার উদ্দিন।
প্রধান শিক্ষক ফারুক ভূঞা মেমোরিয়াল যুব ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাংবাদিক এম শরীফ ভূঞার পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দুধমুখা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ তাজ উদ্দিন, চৌদ্দগ্রাম আলকরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা শামীম হোসেন, ফেনী সাংবাদিক ইউনিটির কোষাধ্যক্ষ আহসান উল্যাহ, বিজয়পুর মাদ্রাসা প্রধান আমিরুল ইসলাম, পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক শিমুল, দাগনভূঞা প্রেসক্লাবের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আতিকুল ইসলাম বাদল, ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আজকের সময় ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আবদুল আজিজ সায়েম প্রমুখ।
বিজয়পুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান একরামুল হক কে ২০২৪ সালের এফবিএম পদক প্রদান করা হয়। শেষে অতিথিবৃন্দ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে খাতা, কলম ও ব্রাশ সহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ উপহার তুলে দেন।
দাগনভূঞা প্রতিনিধি :
দাগনভূঞা উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন ইয়াকুবপুর শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে প্রতি বছরের ন্যায় মাহে রমজান উপলক্ষে পবিত্র কুরআন তেলোয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড ও পুরস্কার বিতরন শনিবার স্থানীয় দুধমুখা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
কুরআন তেলোয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান বিজয়ীকে ৫ হাজার, ২য় স্থান বিজয়ীকে ৪ হাজার, ৩য় স্থান বিজয়ীকে তিন হাজার টাকা নগদ অর্থ ও সনদ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া ফাইনাল রাউন্ডে সকল প্রতিযোগীদের বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নাজমুল হাসান। ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাষ্টার কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী আলী আকবর শাহীন, প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক আবদুল্যাহ আল মারুফ।
ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কবির রাজ্জাক ও সাধারন সম্পাদক মাহামুদুর রহমান রাসেলের সার্বিক তত্বাবধানে কুরআন তেলোয়াত প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন হাফেজ মাওলানা বেলাল হোসাইন, হাফেজ মুহাম্মদ আজিজুল হক, হাফেজ মাওলানা আনিসুর রহমান এবং ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন মোঃ শাহ আলম, তরুন শিল্পী নুরুল আবছার তারেক, আবদুল করিম প্রমুখ।
পরিচালনা কমিটির সহ-সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব রকি ও মোঃ হারুনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি ইস্কান্দার শাহজাদা, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ উল্যাহ, অর্থ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন কিরন, সদস্য সাজেদুল ইসলাম কমল, সৈয়দ বায়োজিদ হোসেন, ফরিদুল আরম মুন্না, প্রবাসী সদস্য আবদুল হাই রকি প্রমুখ।
৫নং ইয়াকুবপুর শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি ফাউন্ডেশনের কুরআন তেলোয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা
দাগনভূঞা প্রতিনিধি :
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন ৫নং ইয়াকুবপুর শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রতি বছরের ন্যায় কুরআন তেলোয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা দুধমুখা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রবাসীদের আর্থিক সহযোগিতায় ও স্থানীয় যুব সমাজের উদ্যোগে ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
নিরপেক্ষ বিচারকদের মাধ্যমে সেরাদের বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। কুরআন তেলোয়াত প্রতিযোগিতায় ২০ জন ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতায় ১৫ জনকে ইয়েস কার্ড প্রদান করা হয়।
ফাইনাল রাউন্ডে সেরাদের মাঝে নগদ অর্থ ও পুরস্কার প্রদান করা হবে।
মুছাপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ শিক্ষককে সংবর্ধনা
স্টাফ রিপোর্টার :
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুছাপুর ইউনিয়নের সাতটি বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করে। জাতীয় শিক্ষা পদকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের পুরুষ্কার দেওয়া হয়।
এর আগে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ খ্রি. এর উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় থানারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ আবদুল্যাহ নয়নকে মুছাপুর ইউনিয়ন প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই কমিটির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ.এস.এম এহসান কবীরের সভাপতিত্বে পদক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭নং মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আহছান উল্লা ভুট্টো।
উপস্থিত ছিলেন, চর বড়ধলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম ছরওয়ার, থানারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম, পূর্ব মুছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, ছোটধলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল বিকাশ মজুমদার, কাইয়ুমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মালেক, সোলাইমানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন, মুছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।
দারুচ্ছুন্নাহ মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও পুরুষ্কার বিতরণ
দাগনভূঞা প্রতিনিধি :
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের ফেনী দারুচ্ছুন্নাহ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা দিলপুরে ২০২৪ সালের দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা প্রদান এবং বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়েছে। রোববার ১১ জানুয়ারি মাদ্রাসা মাঠে এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিন্দুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুর নবী। দারুচ্ছুন্নাহ মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার রহিমা বেগম এর সভাপতিত্বে ও মাদ্রাসার শিক্ষক দৈনিক অজেয় বাংলা নির্বাহী সম্পাদক শাহজালাল ভূঞার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার উল্যাহ, সাপুয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবদুল জাহের ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ফেরদৌস আরা বেগম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মনির আহম্মেদ, মাওলানা দিদার উল্যাহ, মাওলানা ঈসা রুহু উল্লাহ, মাস্টার মিজানুর রহমান, ফেরদৌসী সুলতানা, মর্জিনা আক্তার ও পারুল আক্তার প্রমুখ। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার অভিভাবক শাহআলম সবুজ, মো. সেলিম ও সমাজসেবক অলি আহমেদ। মানপত্র পাঠ করেন জান্নাতুল মাওয়া সামান্তা, শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন তাসরিন সুলতানা সায়ন এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিবি সুলতানা। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মাদ্রাসার অভিভাবক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শেষে অতিথিবৃন্দ পরীক্ষার্থীদের হাতে উপহার সামগ্রী এবং বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেন। কোরআন তেলোয়াত এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে শুরু হয়ে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা হামদ, নাত, গজল ও দেশত্ববোধক গান পরিবেশন করেন।