স্টাফ রিপোর্টার :
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন মো.আরাফাতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রীট করে ওই কর্মকর্তার রোষানলে পড়েছেন দুই দিনমজুর।
গত রোববার (১৩ নভেম্বর) মো. আবুল কালাম নামে এক দিনমজুরকে রামগড় বাজার থেকে রাজনৈতিক ক্যাডার দিয়ে তুলে নিয়ে উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসা হয়। পরে ইউএনও অফিস কক্ষে তাঁকে নিয়ে সাদা কাগজে কয়েকটি স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন। এ সময় তাঁকে প্রায় দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। আরেক দিনমজুর মো. আমিনকে কয়েকজন অপরিচিত লোক খোঁজাখুজি করছে বলে তিনি জানান। ওই অবস্থায় দুজনেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার রাতে এই বিষয়ে ভুক্তভোগী দু’জন রামগড় থানায় জিডি করতে গেলে তাঁদের জিডি গ্রহন না করে ফিরিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে। অবশ্য থানার পরিদর্শক(তদন্ত) রাজীব রায় বলেছেন, বিষয়টি আমার জানা নাই।
শেষমেষ ভুক্তভোগী দিনমজুরের রোববার রাতে বিজিবি ৪৩ ব্যাটালিয়ন জোনে নিরাপত্তা চেয়ে একটি আবেদন করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রামগড় ইউএনও খন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন মো.আরাফাতের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মহা সচিব এড. আহসান হাবীব বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা সরেজমিন গিয়েছি আমরা কাজ করছি। ইউএনও সাহেব অন্যায় ভাবে তাঁদের জেলে পাঠিয়েছেন, তাঁরা প্রতিকার চেয়ে মহামান্য হাইকোটে রীট পিটিশন করেছেন। এ অবস্থায় ইউএনও সাহেব তাঁদের জোর করে স্বাক্ষর নিতে পারেন না। বিচারাধীন বিষয়টি তারাও আরও একবার অন্যায় করেছেন।
এর আগে রামগড় বিজিবি বিওপি সংলগ্ন ক্যাম্পে কাজ করতে গেলে রামগড় ইউএনও মোবাইল কোর্ট করে ৫ দিনের সাজা দেন দিনমজুর মো. আবুল কালাম ও মো. আমিনকে। বিষয়টি নিয়ে সংক্ষুদ্ধ হয়ে দুই দিনমজুর সরকারের কাছে ক্ষতিপুরন চেয়ে এবং রামগড় ইউএনও খন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন মো.আরাফাতের বিচারকি ক্ষমতা বাতিল চেয়ে গতমাসে হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস আজকের সময়কে বলেন, রামগড় ইউএনও বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রীট পিটিশনের কথা জানা নাই। তবে আমার কোন অফিসার ক্যাডার দিয়ে কাউকে অফিসে ডেকে আনে স্বাক্ষর নিতে পারেননা।