মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছরে এদেশে নির্বাচন হয়নি। আসন্ন নির্বাচনকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি। এ নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হোক, সুশৃঙ্খল হোক। এই নির্বাচন যেনো ভোট দখলের নির্বাচন না হয়।
ajkersomoy
দাগনভূঞা প্রতিনিধি, আজকের সময় :
দাগনভূঞা প্রবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয় শুভ উদ্বোধন ও অনুদান হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে পৌর শহর ফাজিলের ঘাট রোড়স্থ নতুন কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মানবিক সহায়তার ধারাবাহিক অংশ হিসেবে দুঃস্থদের সাহায্যোর্থে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬শ ৮০ টাকা চার জনের মাঝে অনুদান হস্তান্তর করা হয়েছে।
দাগনভূঞা প্রবাসী ফোরাম এর স্থানীয় কমিটির সভাপতি আবদুর রহিম এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মো. ইউছুপ মিয়ার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইনুল হোসাইন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির মাহবুব। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা রফিক উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী আবদুল হামিদ, স্থানীয় কমিটির উপদেষ্টা ও সিনিয়র সাংবাদিক আজাদ মালদার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক প্রিন্স মাহমুদ আজিম প্রমুখ।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন স্থানীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল পাটোয়ারী ও আবদুর রশিদ।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় কমিটির নেতৃবৃন্দগন, সুবিধাভোগী ও সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
দাগনভূঞা প্রবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত দেড় কোটি টাকার অধিক মানবিক সহায়তা করেছেন প্রবাসীদের সার্বিক সহযোগিতায়। ভবিষ্যতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।
ফেনী প্রতিনিধি, আজকের সময় :
ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনকল্পে এবং ফেনী পৌর এলাকায় বাজার কেন্দ্রীক শৃঙ্খলা রক্ষা ও শহর ব্যবস্থাপনায় ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির ভূমিকা ও গুরুত্ব বিবেচনায় এনে অংশিজনের সাথে একটি মতবিনিময় সভা বৃহস্পতিবার ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো ইসমাইল হোসেন ও পৌর প্রশাসক গোলাম মো বাতেন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিশদ আলোচনায় জনশৃঙ্খলা রক্ষা সুষ্ঠ বাজার ব্যবস্থাপনা, ফুটপাত দখল মুক্ত করণ এবং যানজট নিরসনের স্বার্থে সমিতির কার্যক্রমে গতিশীলতা আনোয়নে আশু উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।
তৎপ্রেক্ষিতে ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির দৈনন্দিন কার্যক্রম ও নির্বাচন পরিচালনার জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ক্রমে গঠন করা হয়।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আলাল উদ্দিন আলালকে আহবায়ক ও অন্য ৬ জনকে সদস্য করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট উক্ত এডহক কমিটি গঠন করা হয়।
বাকি ৬ সদস্য হচ্ছেন, ফেনী জজ কোর্টের বিজ্ঞ জিপি অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন খান, সিনিয়র সাংবাদিক একেএম আব্দুর রহীম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনসুর উদ্দিন খান, হরিপদ সাহা, জোবায়ের আহমেদ ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক মোঃ আলমগীর চৌধুরী আহাদ।
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে একটি নির্বাচিত পূর্নাঙ্গ কমিটির হাতে আহবায়ক কমিটি তাঁদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিবেন।
ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও-সুন্দরপুর রোডে অর্ধশতাধিক ফলজ, ঔষধি বৃক্ষরোপন করলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মধুয়াই ফাউন্ডেশন । প্রোগ্রাম চেয়ারম্যান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন লিমনের নেতৃত্বে, সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া ও সেক্রেটারি মোঃ মোতালেব হোসেন ভূঁইয়া পৃষ্ঠপোষকতায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ‘সবুজ বিপ্লব-২০২৫’ বাস্তবায়ন হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের এডভাইজার আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া , অর্থ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সজীব, দপ্তর সম্পাদক দিদারুল ইসলাম , প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইমতিয়াজ ভূইয়া, সংগঠনের সদস্য আরিফ, সোহেল, শুভ, জাহিদ, রানা সহ এলাকার স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
০১৮১৯৭৮৫৫০৯
৩০.০৮.২০২৫ ইং
নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অতিবৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাতিষ্ঠানিক পুকুর ও উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছেরপোনা অবমুক্ত করেছে উপজেলা মৎস্য অফিস।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম সরকারের সার্বিক তত্বাবধানে ১৫ টি ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান ও ২টি উন্মুক্ত জলাশয়ে প্রায় ৩ শত ৪২ কেজি মাছেরপোনা অবমুক্ত করেন নোয়াখালী জেলা মৎস কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে কোম্পানীগঞ্জে বিভিন্ন জলাশয়ে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম, উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাজিদ কাউছার খান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাহমিনা তামান্না, কোম্পানীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ গাজী মোহাম্মদ ফৌজুল আজীমসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
নোয়াখালী জেলা (দক্ষিন) প্রতিনিধি :
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ (২০১৩ সংশোধিত) মোতাবেক নোয়াখালী জেলার মাইজদীতে বৃহস্পতিবার বিকেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুকসুদুস সালেহীন, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার সাইফ মাহমুদ।
তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে সতর্কতামূলত ৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং পাবলিক প্লেস ও অন্যান্য স্থানে সাইনেজ স্টিকার স্থাপন, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন অপসারণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হয়।
নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালী জেলা বিএনপির প্যাড ব্যবহার করে বিবৃতি দেওয়ার ঘটনায় ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতা নুরুল আলম সিকদার। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক। নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি জেলা বিএনপির কাছে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ঘাট দখল করে বাহিনী দিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে নুরুল আলম সিকদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলায় বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতা খুন ও অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে বিষয়টি।
নুরুল আলম সিকদার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে আমি প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছিলাম। সেখানে আমার দলীয় প্যাড ব্যবহার করা সঠিক হয়নি। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি জেলা বিএনপির নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
জানা গেছে, জেলা বিএনপির প্যাডে নিজে সই করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আসা চাঁদাবাজির সংবাদের প্রতিবাদ পাঠান নুরুল আলম সিকদার। এতে তিনি নিজেকে বিএনপির তৃণমূলের নেতা হিসেবে নির্দোষ দাবি করেন। পরে ওই বিবৃতির কপি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করলে সমালোচনার ঝড় উঠে।
এক বছরে নেই কোন উদ্যোগ, ফেনীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে দুর্নীতির লাগাম টানার দাবি
আজকের সময় প্রতিবেদক :
ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফেনী জেলা গত ১৬ বছরের মত এখনো অবহেলিত, এক বছরে দুইবার ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হলেও রেমিট্যান্স সমৃদ্ধ এ জেলার মানুষের জন্য তেমন কিছুই করেনি অন্তুর্বর্তি সরকার। উপদেষ্টারা মুখে আশ্বাস দিলেও এখনো কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। ২০২৪ সালের শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার এক বছরের স্মৃতিচারণ এবং এর স্থায়ী সমাধানে করনীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক সংগঠন ‘ফেনী কমিউনিটি’ আয়োজিত মত বিনিময়ে সভাপতি ছিলেন কমিউনিটির আহবায়ক ও বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, সঞ্চালনা করেন কমিউনিটির সদস্য সচিব বুরহান উদ্দিন ফয়সল।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আব্দুল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোতাহের হোসেন, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী ফারাবী হাফিজ, জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের সাধারণ সম্পাদক ড. নিজাম উদ্দিন, কানাডা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, ব্যবসায়ী ও ফেনী ফোরামের সহ সভাপতি দিদারুল আলম মজুমদার, সোনাগাজী ফোরামের সভাপতি ইব্রাহিম বাহারী, ব্যাংকার ও সমাজকর্মী ওমর ফারুক, ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম, সাংবাদিক কেফায়েত শাকিল, সউদি আরব বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, ব্যবসায়ী তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে দাবি আদায়ে একটি লিয়াজো কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়।
মজিবুর রহমান মঞ্জু তার বক্তব্যে বলেন, গত বছরের ফেনীর বন্যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু আমরা বন্যার পর পর প্রথম হতাশ হয়েছি প্রধান উপদেষ্টা ফেনীর বানভাসীদের দেখতে না যাওয়ায়। তিনি অন্তত হেলিকপ্টার নিয়ে ঘুরে আসতে পারতেন। এবারের বন্যায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা এলাকা পরিদর্শন করায় ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি একনেকে ফেনীর বন্যা মোকাবিলায় একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। যদিও এটির বাজেট চাহিদার তুলনায় অর্ধেক। জানি না তাতে কতটুকু হবে। তবে এটি দুর্নীতিমুক্ত রাখা গেলে সম্ভব হবে। এজন্য জেলার সব মত পথের মানুষদের একত্রিত করে এ বিষয়ে স্বেচ্ছার ভূমিকা রাখতে হবে।
এম আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা ফেনীবাসী রাজনৈতিক ও প্রতিবেশী আগ্রাসনের শিকার হয়েছি। বর্তমানে যে সরকারটি রয়েছে এটি জনগণের সরকার। আমরা ফেনীবাসীর সমস্যা নিয়ে বর্তমান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করলে তারা এমনভাবে বলেন, মনে হয় যেন আজই সমাধান হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনো আমরা কোনো সমাধান পাইনি। ফেনীর নিরাপত্তা ইস্যুতে এই সরকারের কূটনৈতিক কোনো তৎপরতাও আমরা দেখিনি, এটি খুবই দুঃখজনক।
সম্প্রতি ফেনীর বন্যা নিরাপত্তায় ৭ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পটি যেন কোনোভাবে লুটপাটের কবলে না পড়ে সেদিকে ফেনীর বিশিষ্টজনদের নজর দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
সাংবাদিক ফারাবী হাফিজ ২৪শের বন্যায় নিজ হাতে তিনটি বেওয়ারিশ লাশ দাফন ও টানা কয়েকদিন নাওয়া খাওয়া ভুলে পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ফেনীবাসীর জন্য কাজ করার স্মৃতি তুলে ধরেন। এসময় পুরো মিলনায়তন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে।
ইঞ্জিনিয়ার মোতাহার হোসেন বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের প্রতিবেশী ভালো নয়। তারা আমাদের পরিকল্পিতভাবে ডুবিয়েছে, ডুবাতে চায়। তার মধ্যে আবার বিগত সরকারের সময় উন্নয়নের মাধ্যমে লুটপাট হয়েছে। একারণে উন্নয়নগুলো টেকসই হয়নি। যার কারণে ফেনীবাসীকে বার বার ভুগতে হচ্ছে। আমরা এবার অন্তত এটার সমাধান চাই।
সাংবাদিক কেফায়েত শাকিল বলেন, ফেনীর বন্যার পর আমরা ১ বছর পার করলাম। এই এক বছরে আমরা কোনো টেকসই সমাধান দেখলাম না। অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে আমরা আশাবাদী ছিলাম। ভেবেছিলাম এখন দুর্নীতি হবে না বলে কাজগুলো মানসম্মত হবে। কিন্তু তাদের বানানো বাঁধ ৬ মাসও টিকলো না। তারা এখন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দেখাচ্ছেন। কিন্তু আমরা এতে আশাবাদী হতে পারছি না। কেননা, কম খরচে বড় যে সমাধানগুলো সম্ভব ছিল তারা সেগুলোর দিকে নজরই দিচ্ছে না। তারা শুধু বাঁধ বানালে ব্যবসা হয় সেদিকেই ব্যস্ত।দুঃখজনক হলো গত ১ বছরে একটা নদী, খাল বা জলাধার উদ্ধার করা হয়নি। কম খরচেই এটা বাস্তবায়ন করে বন্যা ঝুঁকি অন্তত ৪০% কমানো যেত।
দিদারুল আলম মজুমদার বলেন, ফেনীর বন্যা ঝুঁকি শুধু ফেনীর সমস্যা নয়। এটি জাতীয় সমস্যা। এই সমস্যা সামাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য প্রয়োজন।
হুমায়ুন পাটোয়ারী, গত এক বছরে ফেনীবাসী বন্যা মোকাবিলায় অনেক দাবি তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু আমরা কোনো সমাধান পাইনি। এখনো অসংখ্য মানুষের কোনো পুনর্বাসন হয়নি। অসংখ্য ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়েছে। কেউ এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বন্যা নিয়ন্ত্রণে শুধু বাঁধের আলোচনা হলেও নদী খাল জলাধার উদ্ধার করা হয়নি। তিনি বলেন, দাবি বাস্তবায়নে এখন আমাদের আরও শক্ত অবস্থানে যেতে হবে।
ড. নিজাম উদ্দীন বলেন, ফেনীর বন্যার বড় কারণ প্রতিবেশী দেশ ভারতের অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেওয়া পানি। আমরা জানি বিগত সরকার ছিল ভারতের দাস একটি সরকার। এজন্য তারা ভারতের অন্যায়ে চুপ থাকতো। কিন্তু আমরা ভেবেছিলাম ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আসা সরকার অন্তত তাদের চোখে চোখ রেখে দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এখনো বিবাদপূর্ণ বাঁধটির বিষয়েও তারা কোনো সমাধান করতে পারেনি। আগাম পানির তথ্যও আদায় করে নিতে পারছে না।
ফেনী প্রতিনিধি :
সমতট সাহিত্যাঙ্গন ফেনী’র উদ্যোগে বাংলা সাহিত্যের গৌরব বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’এর ৮৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে শহরের ফেনী ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সেমিনার কক্ষে আজ, শুক্রবার, বিকাল ৪:৩০ টায় এক আলোচনা সভা ও লেখক আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। কবি শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় এবং কবি মোহাম্মদ সফিউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্ধুপ্রতিম সাহিত্য সংগঠন বলপয়েন্ট’এর সাধারণ সম্পাদক কবি ইকবাল আলম এবং কবি উত্তম দেবনাথ।
এতে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রসঙ্গে প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি ও গল্পকার কামাল মাহতাব।
আলোচনায় উঠে আসে রবীন্দ্রনাথের আস্তিকতা, ইশ্বরপ্রীতি, একেশ্বরবাদ এবং আধ্যাত্মিক গভীরতার প্রসঙ্গ। বক্তাগণ বলেন, আস্তিকতার দিক থেকে রবীন্দ্রনাথ এ জনপদের জনগণের বিশ্বাসের যেমন কাছাকাছি, তেমনি একেশ্বরবাদীতার দিক থেকেও। তাই রবীন্দ্রনাথের রাজনীতির সাথে তাঁর সৃজনকর্মকে নেতিবাচকভাবে পাঠ করা বরাবরই আমাদের মননশীলতাকে সংকীর্ণ করে রেখেছে। আমাদের আরেকজন রবীন্দ্রনাথের আবির্ভাবকে সম্ভবপর করে তোলার পথ, পন্থা এবং পাথেয় নিয়ে ভাবতে হবে।
কবি স্বাধীন মুর্শিদের কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে আরও যাদের উপস্থিতিতে জমে উঠেছিল আড্ডা তারা হলেন—কবি, গল্পকার ও সম্পাদক ফজলুল মল্লিক, সঙ্গীত শিল্পী জামশেদ ইকবাল, কবি শাহ আলম, কবি সুবোধ ছোটন, কবি সুমাইয়া আকতার, অভিনেতা মু. আব্দুল কাইয়ুম, কবি ও ব্যাংকার ফরিদা আক্তার মায়া প্রমুখ।