ফেনী প্রতিনিধি :
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের নিকটতম ভ্রাতা মার্কেট এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশী জামাল উদ্দিন (৫৫) এর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে সৌদি পুলিশ। নিহত জামাল উদ্দিন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীপুর (৪নং ওয়ার্ড) দাইম মিয়া মোক্তার বাড়ির মৃত নূর ইসলাম বেপারীর ছেলে। নিহতের একমাত্র ছেলে মোঃ সাঈদ হৃদয় (২৩) তার সাথে সৌদিতে থাকে। নিহতের স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্বামীকে হারিয়ে এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন স্ত্রী ফরিদা আক্তার। অন্যদিকে লাশ দেশে আনতে আহাজারি করছে পরিবার ও স্বজনরা। পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
শুক্রবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় নিহতের ছেলে মোঃ সাঈদ হৃদয় ও এলাকার কয়েক প্রবাসী সংবাদটি নিশ্চিত করেন। এর আগে ১৩ জুন সৌদি আরবের পুলিশ তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করলেও পরিবার সেই খবরটি জেনেছেন ৩ দিন পর।
সৌদি আরবে অবস্থানরত স্বজনদের বরাত দিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানান, জামাল উদ্দিনকে রুমের মধ্যে জবাই করে তার লাশ রুমে ফেলে রেখে দরজায় বন্ধ করে চলে যায় দূর্বৃত্তরা। ওই দেশের মিউনিসিপ্যালিটির (বলদিয়া) জামালকে ধরে নিয়ে গেছে প্রচার করে সেখানকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কয়েকজন সবজি ব্যবসায়ী।
প্রবাসীরা জানায়, নিহত জামাল উদ্দিন সৌদি আরবের রিয়াদে প্রায় ৩২ বছর বসবাস করছেন। সে ড্রাইভিং শেখাতেন, গাড়ি চালাতেন এবং পাশাপাশি সৌদি ভাতা মার্কেটের আজিজিয়া সবজি মার্কেটে কয়েকটি দোকান নিয়ে বেকার বাংলাদেশিদের দিয়ে কাজ করাতেন। নিহত জামাল রিয়াদের ভাতা এলাকায় বাঙালি কমিউনিটির দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি এখানকার পুরাতন লোক হিসেবে বাঙালিদের যেকোনো সমস্যায় এগিয়ে আসতেন। ভাতা মার্কেটের আজিজিয়া সবজি মার্কেটের দোকান ভাড়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কয়েকজনের সাথে বিরোধ ছিলো। বিরোধের জের ধরে তাকে খুন করা হয়েছে বলে স্বজনরা দাবি করেন, সে রুমে একা থাকতো বলে জানান।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জামালকে জবাই করে হত্যা করে। হাতে পায়ের রগ কেটে দেয় দূর্বৃত্তরা। নিহতের মরদেহ স্থানীয় সমচি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানা যায়।
উক্ত ঘটনায় রিয়াদের মানকুফা থানা পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিনজনকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলেও জানান নিহতের পরিবার।