ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীর পরশুরামে বাবার বিরুদ্ধে কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ভোক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পরশুরাম থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত মোঃ ইসমাইল হোসেনকে(৪২)কে গ্রেফতার করেছে।
উপজেলার পৌর এলাকার বাউর পাথর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। সে বাউর পাথর গ্রামের উত্তর পাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। সে পেশায় একজন একটি কোম্পানির সাবডিলার বলে জানিয়েছে।
মামলার এজহার সুত্রে জানা গেছে বুধবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই কিশোরীর তাঁর কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে এসময় তার বাবা মোঃ ইসমাইল ওই কিশোরীর কক্ষে ঢুকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিশোরীর চিৎকার শুনে তাঁর মা মোমেনা আক্তার মেয়ের কক্ষে গিয়ে দেখেন সে কান্নাকাটি করছে। কারণ জিজ্ঞাসা করলে কিশোরী ঘটনার বর্ননা দেন। এর আগেও তাঁর বাবা মোঃ ইসমাইল হোসেন (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তাকে জোর পুর্বক ধর্ষণ করেন ঘটনার সময় কিশোরী মা তাঁর নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।
ভোক্তভোগী কিশোরীর মা মোমেনা আক্তার বলেন, আমার মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। তাঁর স্বামী একজন দুশ্চরিত্র ও লম্পট প্রকৃতির লোক আমি বাড়ীতে না থাকিলে তাঁর বাবা প্রায় সময় আমার মেয়ে কে শরীরে হাত দিত। লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলে নাই। গতকাল আমি আমার কক্ষে ঘুমিয়ে পড়লে আমার স্বামী আমার মেয়ের কক্ষে ধর্ষনের উদ্দেশ্যে তাহাকে ঝাপটাইয়া ধরে। আমার মেয়ে তার বাবা মোঃ ইসমাইলকে ধাক্কা দিয়া তাৎক্ষনিক আমার কক্ষে এসে কান্নাকাটি করতে থাকে। আমার মেয়ের কান্নাকাটির শব্দ শুনে আমার মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে গত ১১ নভেম্বর রাতে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে বলে জানায়। ভোক্তভোগীর মা বলেন ওই দিন তিনি মেয়েকে বাড়ীতে রেখে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এসময় তাকে ঘরের ভিতর আটক করে বিষয়টি স্থানীয় কমিশনার খুরশিদ আলম ও সমাজ সভাপতি মীর আহাম্মদ সহ স্থানীয় লোকজনকে জানাইলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে মারধর করে পুলিশ খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহাদাত হোসেন খান আজকের সময়’কে বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে তার মা বাদী হয়ে বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।