ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজী পৌর শহরে দুই সন্তানের জননীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৬ অক্টোবর) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দার এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, একই বছরের ৩ এপ্রিল দুজনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছর ২০০৯ সালের ৫ জুলাই তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম আরিফুর রহমান অভিযোগ গঠন করে বিচারকাজ শুরু করেন।
মামলার নথিপত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৪ জানুয়ারি দুপুরে সোনাগাজী পৌর শহরের ফরিদ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আবেদন কম্পোজ করতে আলম কম্পিউটার নামের একটি দোকানে যান স্বরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা এক নারী। দীর্ঘসময় বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওইদিন বিকেলে দোকান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে নিহতের বাবা সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় দোকান মালিক চরগণেশ এলাকার হাফেজ মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে সফিউল আজম ও তার সহযোগী আবদুল মুনাফের ছেলে রাশেদুল ইসলামকে আসামি করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহম্মদ হাজারী জানান, বুধবার আদালত মামলার আসামি সফিউল আজমকে মৃত্যুদন্ডাদেশ ও ২ লাখ টাকা জরিমানা, তার সহযোগী রাশেদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী সোহরাব উদ্দিন কফিল ও শাহাদাত হোসেন মিলন ১৬৪ ধারায় আদালতে সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফয়েজুল হক মিল্কী।