৩২
এম শরীফ ভূঞা :
ফেনীতে বন্যার পানি কমলেও ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গাছ তলায় চিকিৎসা নিতে শুরু করে রোগীরা। প্রচন্ড গরম ও হঠাৎ বৃষ্টি তা আর হয়ে উঠেনি। পরবর্তীতে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডকে নতুন ভবনের ছয়তলায় স্থানান্তর করা হয়।
ছয়তলা ভবনে ওঠানামার জন্য সিঁড়ি ব্যাতীত বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে রোগীদের পড়তে হচ্ছে বাড়তি বিড়ম্বনায়।
গত কয়েকদিন ধারণ ক্ষমতার দশগুণ বেশি রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আবুল খায়ের মিয়াজী জানান, জায়গার অভাবে রোগীদের আপাতত ছয়তলায় নেওয়া হয়েছে। সংকট নিরসনে ইতোমধ্যে অস্থায়ী ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ২১ শয্যার বিপরীতে শিশু রোগীর সংখ্যা ছিল ১২৫ জন। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধার সংখ্যা বেশি। ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগী ৫৭৫ জন।
বন্যায় মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব; এই অবস্থায় হাসপাতালে এসেও অনেক সহজলভ্য ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। রোগী ও তাদের স্বজনরা বলেন, সরকারের উচিত এটি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া।
হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ সবিতা রায় বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যেসব ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সাপ্লাই দেওয়া হচ্ছে আমরা তা রোগীদের দিচ্ছি। যেগুলো আমাদের সাপ্লাইয়ে নেই কেবল সেসব ওষুধ কিনতে বলা হচ্ছে। ডায়রিয়া রোগীদের হাসপাতালের পক্ষ থেকে কলেরা স্যালাইন, খাবার স্যালাইন, স্যালবিউট্যামল সিরাপ, নাপা সিরাপ, ক্যানোলা, স্যালাইন সেট দেওয়া হচ্ছে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আসিফ ইকবাল বলেন, বন্যার পর পর ফেনীর ৬ উপজেলা থেকে আসা ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগী আক্রান্ত রোগীদের চাপ বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। এরপরও আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি সেবা নিশ্চিত করতে। আমাদের জনবল ও জায়গার অভাব আছে। গুরুত্বপূর্ণ অনেক চিকিৎসক সংকটও রয়েছে। স্বল্প জনবল দিয়ে বৃহৎ পরিসরে সেবা সম্ভব নয়।