মোঃ আলাউদ্দিন লিংকন, স্টাফ রিপোর্টার :
চট্টগ্রাম এনায়েত বাজার মহিলা কলেজে ব্যবসা-শিক্ষা বিভাগের ১ম বর্ষের কলেজ ছাত্রী অপহরণের ১৮ দিনের উদ্ধার হয়নি৷ ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানাধীন ২২নং ওয়ার্ড এনায়েত বাজারে গত ৯ আগস্ট ২০২৩ইং রোজ বুধবার দুপুর ১২ টায় ভিকটিমের পরিবার জানায় সেনেটারী ব্যবসায়ী মোঃজালাল আহমেদের কন্যা সুরাইয়া জাহান(১৮) চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানাধীন ২১ নং ওয়ার্ড চেরাগী পাহাড় মোড় থেকে কোচিং শেষ করে বাসায় ফেরার পথে অপহরণের শিকার হয়৷ এ ব্যাপারে গত ১০ শে আগস্ট ভিকটিমের পিতা জালাল আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানায় ১০১৬ নং জিডি করে৷
অপহৃতার বাবা জালাল আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে আমার আপন ছোট বোন পারভীন আক্তার,স্বামী নুর নবী,ছেলে ফিরোজ,ফারুক ও ফরহাদ সহ চট্টগ্রাম এনায়েত বাজার জুবিলী ভবনের ২য় তলায় অবস্থিত আমার ভাড়া বাসায় চিকিৎসার জন্য এসে ১১ দিন পযর্ন্ত বেড়ায়৷ ৮ আগস্ট রোজ মঙ্গলবার আমার বাসা থেকে চলে যায়৷যাওয়ার সময় আমার ভাড়া বাসা থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়৷ মান সম্মানের কথা চিন্তা করে আমি বিষয়টি পারিবারিক ভাবে গোপন রাখি৷পরের দিন আমার মেয়ে সুরাইয়া জাহানকে আমার বোন পারভীন আক্তারের নেতৃত্বে ফরহাদ আমার মেয়েকে অপহরণ করে৷খবর পেয়ে আমি আমার ছোট বোনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই৷ পারভীন আক্তার নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার ০৪নং কাদরা ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড চাঁদপুর গ্রামের তেলিপুকুর ভূঁইয়া বাড়িতে বসবাস করেন৷ আমার বোনের বাড়িতে এসে দেখি বাড়ীতে কেউ নেই এবং ঘরের দরজা তালা দিয়ে বন্ধ৷বাড়ীতে থাকা আশে-পাশের প্রতিবেশীরা জানান তারা গত কয়েক দিন ধরে বাড়িতে কেউ নেই৷ কোথায় গেছে কোন জায়গায় রয়েছে আমরা কিছুই জানি না৷এই বিষয় স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বপন বলেন আমাকে জালাল আহমেদ বিষয়টি অবগত করেছেন৷ আমি খবর নিয়ে জানতে পারি পারভীন আক্তার, স্বামী নুর নবী,ছেলে ফিরোজ,ফারুক ও ফরহাদ গত কয়েক দিন ধরে বাড়িতে কেউ নেই৷বাড়ীতে কাউকে দেখতে না পেয়ে জালাল আহমেদ তখন নিজ পেইজবুক আইডি থেকে পারভীন আক্তারকে নিয়ে একটি পোস্ট করলে গত ১৬ আগস্ট ০১৮৬১-৪৪৭৭৬৮ উক্ত নাম্বার থেকে সুরাইয়া জাহান কল দিয়ে বলে আমরা সবাই ভালো আছি৷ তুমি পেইজ বুক থেকে সব পোস্ট ডিলিট করতে বলে কল কেটে দেয়৷ পারভীন আক্তারের ছেলে ফিরোজ মুঠোফোনে নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার ভাই ফরহাদ আমার মামাতো বোনকে পছন্দ করে বর্তমান ফরহাদের সাথে আমার মামাতো বোন সুরাইয়া জাহান একসাথে রয়েছে৷ আমার মা-বাবা ভাই ও মামাতো বোন কোথায় আছে আমি বলতে পারবো না৷ অপহরণকারী পারভীন আক্তারের মুঠোফোন, ফারুক, ফরহাদ নাম্বারে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়৷এ রিপোর্ট লেখার সময় পযর্ন্ত অপহরণকারীরা গ্রেফতার ও অপহৃতা উদ্ধার হয়নি৷ এই ব্যাপারে ভিকটিমের পরিবার জানান,আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি৷