কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ শওকত আল ইমরান (ইমরোজ) ঐতিহ্যবাহী কবি জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিদ্যালয়ের নতুন ম্যানিজিং কমিটির সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। বিদ্যোৎসাহী সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া সানরাইজ ফাউন্ডেশন, প্রধান শিক্ষক ফারুক ভূঞা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, এফ টিভি দর্শক ফোরাম, বৃহত্তর নোয়াখালী ফোরাম ও আজকের সময় পাঠক ফোরাম নেতৃবৃন্দ অভিনন্দন জানান।
মাধ্যমিক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
আলোকিত সমাজ গঠনের প্রত্যয় নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন দাগনভূঞা ইয়ুথ সোসাইটির উদ্যোগে ২০২৩ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৫ (এ+) প্রাপ্তদের সংবর্ধনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দাগনভূঞা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবর্ধনা দেয়া হবে বলে জানান সোসাইটির সভাপতি গোলাম সরওয়ার।
এসএসসি মার্কশীট ও ছবি জমা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন ফরম পূরন করার আহবান জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ।
২০ অক্টোবরের মধ্যে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জেলা প্রশাসককে প্রধান অতিথি করে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়া হবে বলে জানান অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মারুফ।
এম শরীফ ভূঞা, আজকের সময় :
ফেনী জেলার ১৮৫টি স্কুল থেকে ২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৯ জন অংশ নিয়ে ১৪ হাজার ২৭৭ জন কৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে শতভাগ পাশের তালিকায় উঠেছে ৬টি স্কুল। ফেনী সদর উপজেলায় ৪টি ও ছাগলনাইয়ার ২টি স্কুল রয়েছে। জেলায় পাশের হার ৭৯ দশমিক ২৩ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ২১৬ জন।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে দাগনভূঞা উপজেলায়। এ উপজেলা থেকে ২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৪০৩ জন অংশ নিয়ে ২৯৬০ জন কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৯ জন। পাশের হার ৮৬ দশমিক ৯৮ ভাগ।
পাশের হারে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ফুলগাজী উপজেলা। এ উপজেলার ২১টি বিদল্যালয় থেকে ১৫০৫ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১০০২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১ জন। পাশের হার ৬৬ দশমিক ৫৮ ভাগ।
তবে জিপিএ-৫ এর তালিকা শীর্ষস্থানে রয়েছে ফেনী সদর উপজেলা। এ উপজেলার ৬৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৭৩১২ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৫৯০৮ জন। জিপিএ-৫ লাভ করেছে ৮১৮ জন। পাশের হার ৮০ দশমিক ৮০ ভাগ।
ছাগলনাইয়া উপজেলার ৩০টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০৩১ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৭০৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১ জন। পাশের হার ৮৪ দশমিক ১০ ভাগ।
পরশুরাম উপজেলায় ১৮ প্রতিষ্ঠানের ১২৭৮ জন অংশ নিয়ে ৯৪৯ জন পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৭ জন। পাশের হার ৭৪ দশমিক ৭৬।
সোনাগাজীর উপজেলায় ২৩টি বিদ্যালয় থেকে ২৪৯০ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৭৫০ জন। পাশের হার ৭০ দশমিক ২৮ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬০ জন।
আজকের সময় ডেস্ক :
প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষাসহ জীবনের জন্য জরুরি সব দক্ষতা ও জ্ঞান দিয়ে শিক্ষার্থীদের তৈরি করার কথা স্কুল-কলেজগুলোর। বাস্তবে এর ছিঁটে-ফোঁটাও নেই দেশের প্রায় সব স্কুল-কলেজে। রাজধানী থেকে শুরু করে গ্রাম- সবখানেই একই পরিস্থিতি। শিক্ষার্থীদের সামনে বিকল্প তাই প্রাইভেট টিচার আর কোচিং। এতে অভিভাবকদের খরচ করতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের বাড়তি অর্থ। প্রশ্ন উঠছে, প্রাইভেটই যদি পড়তে হবে, তবে স্কুল কেন?
অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে যে সারমর্ম মেলে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব শিক্ষকদের কাছে এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত কোচিং সেন্টারে বাড়তি অর্থ ব্যয় করে পড়তে বাধ্য হচ্ছে।
অভিভাবকদের প্রায় সবাইকেই ছেলেমেয়েদের পেছনে বাড়তি মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, স্কুল-কলেজে তাহলে কী হয়? শিক্ষকরা কী করেন? নিয়মতি পাঠদান করছেন না তারা? অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষকরা পাঠদানের নামে দায় সারেন। এ ব্যাপারে কিছু বললে উল্টো সন্তানের স্কুলে পড়াশোনার ক্ষতির ভয়। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের কাছে কিংবা কোচিংয়ে পড়াতে হচ্ছে সন্তানকে।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ‘শিক্ষা এখন বাণিজ্যিক রূপ নিচ্ছে। এ কারণেই স্কুলে না পড়িয়ে কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন শিক্ষকরা। এটা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য অশনিসংকেত। এমনটা প্রত্যাশিত ছিল না। এ থেকে উত্তরণ জরুরি। একজন শিক্ষক ক্লাসে পড়ালে কেন আবার সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে পড়তে হবে? গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে হবে।’ কোচিং বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও মাঠ পর্যায়ে তার কোনো বাস্তবায়ন নেই বলে পর্যবেক্ষণ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর।
অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবীর দুলু অভিযোগ করেন, কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকারের সদিচ্ছা নেই। তিনি বলেন, ওয়েবসাইটে কোচিং বন্ধে নীতিমালা জারি করেই দায় সেরেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোচিং বন্ধে মনিটরিংয়ের জন্য জেলা, উপজেলা ও বিভাগ পর্যায়ে যে কমিটি থাকার কথা বলা হয়েছে তা কোথাও নেই বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোচিংবাজ শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছেন। কিন্তু কার্যত পাল্টা কোনো ব্যবস্থা নেই’।
কোচিং বন্ধে ২০১২ সালে নীতিমালা করে সরকার। নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম চলাকালীন শ্রেণিসময়ের মধ্যে কোনো শিক্ষক কোচিং করাতে পারবেন না। কোনো শিক্ষক তার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারবেন না। নীতিমালা অনুযায়ী অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে নিজ বাসায় পড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি লাগবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে লিখিতভাবে ছাত্রছাত্রীর তালিকা, রোল ও শ্রেণি উল্লেখসহ জানাতে হবে।
নীতিমালা না মানলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কোচিং-বাণিজ্যে জড়িত থাকলে তার এমপিও স্থগিত বা বাতিল, বেতন ভাতাদি স্থগিত, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত, বেতন এক ধাপ অবনমিতকরণ, সাময়িক বরখাস্ত, চূড়ান্ত বরখাস্ত ইত্যাদি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দাগনভূঞা প্রতিনিধি :
দাগনভূঞা উপজেলার মোমারিজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নবনির্বাচিত সভাপতি বালাকাত উল্যাহ মিলন, সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম, অভিবাবক সদস্য মোজাম্মেল হক সিপন, ফারুকুল ইসলাম মেম্বার, মাষ্টার মন্সুর, শহীদুল ইসলাম তোতা, জেবুন্নাহার, দাতা সদস্য আব্দুল হান্নান মিনার, শিক্ষক প্রতিনিধি মৃনাল দাশ গুপ্ত, এটিএম আতিকুল ইসলাম বাদল, সালেহা বেগম।
শিক্ষার মানন্নোয়নে শিক্ষার্থীদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করলেন মেয়র খোকন
বিরলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া ও মিলাদ
ফেনী প্রতিনিধি, আজকের সময় :
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিরলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এর ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সফলতা কামনা করে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) স্কুল মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম।
প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মিলাদে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য দৈনিক অজেয় বাংলা নির্বাহী সম্পাদক শাহজালাল ভূঞা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ইউপি সদস্য নুরুল হুদা সুমন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক কবির আহমদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অনিমেষ চন্দ্র পাল, সিনিয়র শিক্ষক হুমায়ুন কবির, আবুল মনসুর রেজাউল করিম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আজিজুল হক খোকন, পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সৈয়দা শেহরেনাজ ও একরাম হোসেন আবির এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে নুসরাত জাহান রুহি প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিবাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শেষে পরীক্ষার্থীদের সফলতা কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।