ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ সর্বদলীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি
গতকাল বুধবার বিকেলে ফেনী জেলা আদালত সংলগ্ন আইনজীবী ভবনে ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ সর্বদলীয় কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক ও পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি একেএম আবদুর রহিম, ইসলামী আন্দোলন ফেনী জেলা সেক্রেটারী মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়া, ফেনী বারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমদাদ হোসাইন, প্রতিরোধ কমিটির ফুলগাজী প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট হানিফ মজুমদার, আত্মার বন্ধন নামে সংগঠনের প্রতিনিধি নাজরানা হাফিজ, নারী সংগঠক জাহান আরা মণি, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার বাদল প্রমুখ।
সভায় বক্তাগণ ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধকল্পে সভা-সমাবেশ, প্রেস কনফারেন্স, লিফলেট বিতরণ, স্কুল-কলেজে সচেতনতামূলক সভা এবং বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য জনগণকে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সোনাগাজী
আজকের সময় প্রতিবেদক :
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার কুঠিরহাট পত্রিকা লেখক,পাঠক ফোরামের কমিটি নির্বাচনে সভাপতি পদে সাংবাদিক ওবায়দুল হক ও সাধারণ সম্পাদক পদে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (১৪ডিসেম্বর) বিকেলে লেখক, পাঠক ফোরামের সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে এ কমিটি নির্বাচন করা হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যগন হলেন, ডাঃ কামাল উদ্দিন( সহসভাপতি), সাংবাদিক মোল্লা ইলিয়াস (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক), ডাঃ লোকমান হোসেন (সহ সম্পাদক), মাষ্টার গোলাম কিবরিয়া (সাংগঠনিক সম্পাদক), হাফেজ আহমদ (সহ সাংগঠনিক সম্পাদক), সার্ভেয়ার হাবিবুর রহমান হারুন (অর্থ সম্পাদক), এডভোকেট ইকবাল হোসাইন (আইন বিষয়ক সম্পাদক), মাষ্টার শাহাদাত হোসেন (শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক), মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন (ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক), মুক্তাদের হাসান ( দপ্তর সম্পাদক), ডাঃ শান্তি রঞ্জন কর্মকার (স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক), বেলাল হোসেন মানিক (প্রচার সম্পাদক), নিজাম উদ্দিন (ক্রীড়া সম্পাদক), বিভিষণ কুমার বসাক (প্রকাশনা সম্পাদক)।
এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে মোঃ ওয়াহেদ হোসেন ফরিদ, এডভোকেট মাহমুদুল হাসান, সাংবাদিক নাছির উদ্দীন, সাংবাদিক শাহ শহিদ, ডাঃ শাহ আলম নির্বাচিত হয়েছেন।
সোনাগাজীতে শামছুল আমিন (বাচ্চু মিয়া) স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
শহিদুল ইসলাম, সোনাগাজী :
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওছমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মরহুম শামছুল আমিন (বাচ্চু মিয়া) স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৪ইং শনিবার ( ৭ডিসেম্বর) উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওছমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়,ওছমানিয়া আলিম মাদ্রাসা,পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আহসানিয়া মডেল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
শামছুল আমিন (বাচ্চু মিয়া) ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৮৮০ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন,উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক:শাহ আলম ও আমির হোসেন।
সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নার্গিস হোসাইন।
কেন্দ্র সচিব হিসেবে ছিলেন এম এ মান্নান ফারুক।
সহকারী কেন্দ্র সচিব : মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন ও জনাব রাশেদা খানম সিপি।
ওছমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র হল সুপার:জনাব সন্জিব চন্দ্র দাস
সহকারী হল সুপার : জনাব সাহেদ আকতার শান্ত।
ওছমানীয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে
হল সুপার: মাওলানা আব্দুল হাকিম,সহকারী হল সুপার:শাহাদাত হোসেন।
পাইক পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
হল সুপার: দেবরাজ রাজু,সহকারী হল সুপার : মাষ্টার আবুল বাশার।
আহ্ছানিয়া মডেল মাদরাসা কেন্দ্রে
হল সুপার : মাওলানা আনিসুল হক,
সহকারী হল সুপার : এডভোকেট আল মামুন।
পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সন্তোশ প্রকাশ করে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজাতুন নাবিহা বলেন, শামছুল আমিন স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্ন আমার খুব ভালো লেগেছে। এধরণের পরীক্ষা আমাদের মেধাবিকাশে সহায়ক হবে।
অভিভাবক এডভোকেট ইকবাল হোসেন বলেন, এমন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেকে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।এছাড়া এধরণের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট মেধা অর্জন করতে পারবে।
পরীক্ষা হল পরিদর্শন করেন শামছুল আমিন (বাচ্চু মিয়া) ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. নুর হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ডা. খালেদ মাহমুদ টিপু, বিশিষ্ট শিল্পপতি নাজমুল করিম দুলাল, বিশিষ্ট শিল্পপতি মোরশেদ আলম সেলিম, সোনাগাজী বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুল মান্নান, বগাদানা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেকচেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ পারভেজ,বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মাহবুব সুবহান জহির, বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকসহ বিপুল সংখ্যক অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
ফেনীতে তফসিলভূক্ত ব্যাংকের অংশগ্রহনে কৃষিঋণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
সোনালী ব্যাংক পিএলসি কতৃক আয়োজিত কৃষিঋণ বিষয়ক এক
প্রশিক্ষণ কর্মশালা গতকাল ২৭ নভেম্বর,২৪ দিনব্যাপি জেলা
প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত কর্মশালায় ফেনীতে অবস্থিত ৪৬টি ব্যাংকের ডিজি এম
,এজিএম, ম্যানেজার ও ঋণ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কর্মশালাটির
উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের নির্বাহি পরিচালক
আরিফ হোসেন খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি ঋণ
কমিটির সভাপতি ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার সভাপতি ফেনী জেলা
প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক
চট্টগ্রামের পরিচালক মো: আরিফুজ্জামান । এছাড়া লিড ব্যাংক
সোনালী ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: হারুন
অর রশীদ, এ এইচ এম রেজাউল করিম ডিজিএম বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
, যুগ্ম পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের রেজাউল করিম
উপস্থিত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বক্তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের
নির্বাহি পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ব্যাংকারদের প্রধান
কাজ হচ্ছে কাস্টমারের যথাযত সেবা প্রদান করা । এবং কাস্টমারকে
বুঝতে পারা। বাংলাদেশ এখনো শতভাগ কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই
কৃষকদের নানা প্রকার ক্ষুদ্র মাঝারি ঋণ দিয়ে তাদের কে সাবলম্বী করে
তোলা। কিন্তু বেসরকারি ব্যাংক গুলোতে এই ক্ষেত্রে বিমুখতা দেয়া যায়।
শুধু মাত্র ডিপেজিট নয় কৃষকদের কে ঋণ প্রদানে ব্যাংকগুলোকে
আরো উদ্যোগি হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে ব্যাংক।
তাই দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রতি ব্যাংকারদেও অনেক দায়
দায়িত্ব রয়েছে। আমজনতা যাতে ব্যাংক থেকে সেবা পায় সে দিকে
ব্যাংকারদের নজর দিতে হবে।
বাংলাদেশ বর্তমানে ১৮ কোটি মানুষের দেশ । কিন্তু খাদ্য ঘাটতি
নাগালের মধ্যে। এ সাফল্য কৃষকদের। করোনাকালিন সময়ে আমরা যখন
ঘরে, অফিসে বসে ছিলাম, কৃষকেরা কিন্তু তখনও মাঠে ছিল । তাই
নিজেদেও স্বার্থে হলেও কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংক চট্ট্রগ্রামের পরিচালক
আরিফুজ্জামান বলেন, ফেনীতে প্রায় ৭৪ লাখ হেক্টর জমি রয়েছে । এর
মধ্যে একফসলী , দো ফসলি ও তিন ফসলী জমিও রয়েছে। কিন্তু মাত্র ১৮
ভাগ জমিতে চাষাবাদ হয়।
তিনি বলেন বাংলাদেশ হচ্ছে সবুজ ফসলের খেত। ফেনী ও এর ব্যতিক্রম
নয়। তাই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে কৃষকদের কে প্রনোদনা ও ঋণ দিতে
হবে। তিনি বলেন, কৃষিকে বাণিজ্যিক রুপ দিলে দেশ সমৃদ্ধ হবে।
কৃষক যদি তার উৎপাদিত পণ্যের দাম পায় তখন সে নিজেকে গর্ব করে
বলতে পারতো সে কৃষক। তাই কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে
তাদেরকে সুরক্ষা দিতে হবে। শুরুতে সভাপতির বক্তব্য দেন ফেনী জেলা
প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে ছিল প্রশিক্ষণ কর্মশালা তাতে কৃষিঋণ
নীতিমালার উপর প্রশিক্ষন দেন, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের যুগ্ম
পরিচালক রেজাউল করিম।
কৃষি ঋণ বিতরণে কৃষক/ গ্রাহক নির্বাচন , ঋণ প্রক্রিয়াকরণ ও
বিতরণ বিষয়ে প্রশিক্ষন ছিলেন সোনালী পিএলসির ডেপুটি
জেনারেল ম্যানেজার মো: হারুন অর রশীদ। কৃষিঋণ সুপারভিশন,
ফলোআপও রিকভারী বিষয়ে প্র২ি০২২
৬+৮শক্ষন দেন এ এইচ এম রেজাউল করিম,
ডিজিএম বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।
এম শরীফ ভূঞা, ফেনী :
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ, নবাবপুর ও ফুলগাজী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থানে ফল আর্মিওয়ার্ম পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে এ পোকা ভেসে এসেছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
জুলাই-আগস্টে পরপর তিন দফা বন্যায় জনপদে কৃষিখাতে হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। ফলে আগামীতে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এর মাঝে কৃষকের নতুন ভীতি ফসল বিনাশী ‘ফল আর্মিওয়ার্ম’ পোকার মারাত্মক আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফসলের জন্য ক্ষতিকর এ পোকা দমনে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছেন কৃষি বিভাগ। অন্যদিকে কৃষকরা বলছেন, জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকা দমন করা যাচ্ছে না।
সোনাগাজীর আমিরাবাদ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কালো রঙের অসংখ্য পোকা ফসলের মাঠে, রাস্তায়, বাড়িঘর ও আশপাশের বন-জঙ্গলে বিচরণ । পুকুর, ডোবা-নালাসহ আমন ধানের মাঠে পানি থাকলেও পোকাগুলো পানি ওপর দিয়েই হেঁটে বেড়াচ্ছে ও একস্থান হতে অন্যস্থানে চলাচল করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বন্যার পর জমিতে আমন ধান আবাদ করেছেন তারা। এছাড়া বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগাম শীতকালীন সবজি লাউ, কুমড়া, করলা, জিঙ্গা, পাট শাক আবাদ করেছেন, সপ্তাহখানেক পর সেগুলো বিক্রির উপযোগী হতো। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে এ পোকার ব্যাপক আক্রমণ। পোকার আক্রমণ কমাতে জমিতে কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। পোকার আক্রমণে ফসল উৎপাদনে বিপর্যয়ের শঙ্কা করছেন তারা। একই কথা বলছেন ফুলগাজী উপজেলার কৃষকরাও। সেখানেও ফসলের মাঠে এ পোকার আক্রমণ প্রকট আকার ধারণ করেছে।
কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ১২ শতক জমিতে লাউ গাছের চারা রোপণ করেছিলাম। হঠাৎ এ পোকা এসে সবগুলো গাছের মূল কেটে দিয়েছে। এতে গাছগুলো শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ করেও লাভ হয়নি। পোকাগুলোকে কীটনাশকের পানিতে রাখলেও মরে না।
কৃষি বিভাগ বলছে, ফসলের জন্য ক্ষতিকর এ পোকা দমনে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছেন তারা। অন্যদিকে কৃষকরা বলছেন, জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকা দমন করা যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, এতো পোকা আমার ৫৫ বছরের জীবনে কখনো দেখিনি। দেখতেও কেমন ভয় লাগে, কাছে গেলে শরীরে উঠে যায়। জমির পাশাপাশি এখন বাড়িঘরেও ঢুকে পড়েছে। এভাবে হলে মাঠের ফসল আর বাড়িতে তোলা সম্ভব না।
কৃষক মোস্তফা বলেন, বন্যার ক্ষতি কাটাতে ৬০ শতক জমিতে আগাম শাকসবজি আবাদ করেছিলাম। এখন সেগুলোও পোকায় নষ্ট করে ফেলছে। চেষ্টা করেও ফসল বাঁচাতে পারছি না।
সোনাগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন আহমেদ সোহাগ বলেন, এ পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পোকা দমনে ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের টিম কাজ করছে। কৃষি বিভাগ মাঠপর্যায়ে থেকে কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।
একই প্রসঙ্গে ফুলগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, ফুলগাজীর আমজাদহাট ইউনিয়নের মনিপুর ও মুন্সীরহাটের দক্ষিণ শ্রীপুর এলাকায় পোকার আক্রমণ বেশি লক্ষ্য করা গেছে। পোকার উপদ্রব ঠেকাতে তিন ধরনের ওষুধ ছিটানো হয়েছে। কীটনাশক নাইট্রো ও কোরাজেন মিশ্রিত স্প্রে করে পোকা দমন করা হচ্ছে। বন্যার সময় কিছু কীটের লার্ভা ফসলের মাঠে আগাছার সঙ্গে মিশে থাকায় এ পোকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফেনী সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন মিলন বলেন, সাম্প্রতিক বন্যা এ পোকার উপদ্রবের অন্যতম কারণ হতে পারে। পোকাটি সাধারণত মাঝারি ঠাণ্ডা ও গরমে বেশি বংশবিস্তার করে। বর্তমান সময়ের আবহাওয়া সবচেয়ে বেশি অনুকূলে রয়েছে। যা আমাদের জন্য বাড়তি শঙ্কার বিষয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ একরাম উদ্দিন বলেন, জেলায় প্রথমবারের মতো এ পোকার উপদ্রবের বিষয়ে অবগত হয়েছি। এখন পর্যন্ত সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ও আমিরাবাদ এবং ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর এলাকায় এ পোকার দেখা মিলেছে বলে জেনেছি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন। বিভিন্ন বালাইনাশক কোম্পানির প্রতিনিধিদেরও এতে যুক্ত করা হয়েছে। পোকার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে জমিতে আলোর ফাঁদ ও পাখি বসার মত কিছু বসাতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সোনাগাজী প্রতিনিধি :
সামাজিক মানবিক উন্নয়ন বন্ধু ফোরাম এর আয়োজনে স্বল্প পরিসরে প্রতিবছরের মতো এবার ও কিছু হতদরিদ্র পরিবারের অসহায়, দু:স্থ,বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, অস্বচ্ছল নারীদের মধ্যে ঈদ উপহার-ঈদের শাড়ী বিতরণ করা হয়।
উপস্থিত বিতরন সহ কিছু ঈদ বস্র বাড়ী-বাড়ী পৌছিয়ে দেয়া হয়েছে। উক্ত বিতরণ কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সহ তদারকির দায়িত্ব পালন করেন ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক শিক্ষক নেতা মো: আমির হোসেন আমু।
রবিউল আলম, আজকের সময় :
আমরা গর্বিত আমরা ফেনীর সন্তান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ।
সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ সাতবাডিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুস্থ,গরীর, অসহায় মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত বিতরনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনাগাজী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত মাকসুদ আহম্মদ, সাতবাড়িয়া স্কুল সভাপতি মাইনুল ইসলাম, সংগঠনের জেলা উপদেষ্ঠা শামীম আহম্মদ, সংগঠনের জেলা সদস্য সচিব মিঠুখাঁন, সমন্বয়ক আবদুল হান্নান, সাবেক সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি ও সমন্বয়ক মো:সেলিম, আলমগীর হোসেনসহ উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গত এক সপ্তাহ ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। একমাত্র পানির পাম্পটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজন, ডাক্তার এবং নার্সরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোগী ও তাদের স্বজনরা বাইরের দোকান, পুকুর ও টিউবওয়েল থেকে পানি নিয়ে আসছেন। পানি সংকটে শৌচাগারে পানি ব্যবহার কম হওয়ায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের রোগী আকলিমা বেগম বলেন, ‘পানি ছাড়া তো চলা যায় না। দুইদিন বাইরে গিয়ে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গোসল করে আসছি। নিরুপায় হয়ে এখানে পড়ে আছি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হাসপাতালে পানি ওঠানোর একমাত্র পাম্পটি গত এক সপ্তাহ আগে নষ্ট হয়ে যায়। এরপর হাসপাতালে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পানির সংকটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের গোসল করা থেকে শুরু করে সবকিছু দুরূহ হয়ে পড়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোহাম্মদ ইউনুস নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘গত ৪ দিন ধরে এখানে ভর্তি আছি। রোগীকে ভালো করতে এসে মনে হচ্ছে আমরাও অসুস্থ হয়ে যাব। বাইরে থেকে কত পানি আনা যায়। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার উৎপল দাস বলেন, ‘পানির পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী দুইবার আসলেও পাম্প ঠিক হয়নি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, ‘হাসপাতালের পানির সমস্যার বিষয়য়ে আমি অবগত ছিলাম না। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলে পানির সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’