সোনাগাজী
সোনাগাজী প্রতিনিধি :
সামাজিক মানবিক উন্নয়ন বন্ধু ফোরাম এর আয়োজনে স্বল্প পরিসরে প্রতিবছরের মতো এবার ও কিছু হতদরিদ্র পরিবারের অসহায়, দু:স্থ,বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, অস্বচ্ছল নারীদের মধ্যে ঈদ উপহার-ঈদের শাড়ী বিতরণ করা হয়।
উপস্থিত বিতরন সহ কিছু ঈদ বস্র বাড়ী-বাড়ী পৌছিয়ে দেয়া হয়েছে। উক্ত বিতরণ কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সহ তদারকির দায়িত্ব পালন করেন ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক শিক্ষক নেতা মো: আমির হোসেন আমু।
রবিউল আলম, আজকের সময় :
আমরা গর্বিত আমরা ফেনীর সন্তান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ।
সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ সাতবাডিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুস্থ,গরীর, অসহায় মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত বিতরনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনাগাজী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত মাকসুদ আহম্মদ, সাতবাড়িয়া স্কুল সভাপতি মাইনুল ইসলাম, সংগঠনের জেলা উপদেষ্ঠা শামীম আহম্মদ, সংগঠনের জেলা সদস্য সচিব মিঠুখাঁন, সমন্বয়ক আবদুল হান্নান, সাবেক সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি ও সমন্বয়ক মো:সেলিম, আলমগীর হোসেনসহ উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গত এক সপ্তাহ ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। একমাত্র পানির পাম্পটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজন, ডাক্তার এবং নার্সরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোগী ও তাদের স্বজনরা বাইরের দোকান, পুকুর ও টিউবওয়েল থেকে পানি নিয়ে আসছেন। পানি সংকটে শৌচাগারে পানি ব্যবহার কম হওয়ায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের রোগী আকলিমা বেগম বলেন, ‘পানি ছাড়া তো চলা যায় না। দুইদিন বাইরে গিয়ে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গোসল করে আসছি। নিরুপায় হয়ে এখানে পড়ে আছি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হাসপাতালে পানি ওঠানোর একমাত্র পাম্পটি গত এক সপ্তাহ আগে নষ্ট হয়ে যায়। এরপর হাসপাতালে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পানির সংকটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের গোসল করা থেকে শুরু করে সবকিছু দুরূহ হয়ে পড়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোহাম্মদ ইউনুস নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘গত ৪ দিন ধরে এখানে ভর্তি আছি। রোগীকে ভালো করতে এসে মনে হচ্ছে আমরাও অসুস্থ হয়ে যাব। বাইরে থেকে কত পানি আনা যায়। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার উৎপল দাস বলেন, ‘পানির পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী দুইবার আসলেও পাম্প ঠিক হয়নি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, ‘হাসপাতালের পানির সমস্যার বিষয়য়ে আমি অবগত ছিলাম না। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলে পানির সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’
সোনাগাজী প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি ভবন ছিল। একটি ৩১ শয্যা ও অন্যটি ১৯ শয্যাবিশিষ্ট। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। এরপর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ও আগত রোগীদের জন্য শয্যার সংকট সৃষ্টি হয়।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৯৯ হাজার ৫২৫ টাকা ব্যয়ে তিনতলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণে মনি অ্যান্ড জেএইচএন জেবি এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ২৭ জুন ভবন নির্মাণের জন্য তাদের ১১ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার এক বছর পর চলতি মাসের গত সপ্তাহ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে।
টিনশেডের ঘরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জরুরি বিভাগে আসা রোগীদের। বারান্দা, সিঁড়ি ও মেঝেতে চাদর বিছিয়ে শুয়ে আছেন রোগীরা। হাসপাতালের ১৯ শয্যায় ভর্তি রয়েছেন ৮৫ জন রোগী। এর মধ্যে ৪২টি শিশু রয়েছে। মাত্র ১৯টি শয্যা নিয়ে এভাবেই চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
পুরনো ভবন ভেঙে ফেলার পর অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে ১৯ শয্যা ভবনের ছাদে একটি ২০ শয্যার শেড নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শেড নির্মাণ না করায় রোগীদেরকে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে।
১৯৬৫ সালে সোনাগাজী পৌরশহরের জিরো পয়েন্টে একটি পল্লী চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। ১৯৭৭ সালে সেটিকে ৩১ শয্যার থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রূপান্তর করা হয়। ২০০৭ সালে ১৯ শয্যার একটি নতুন তিনতলা ভবনের কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নতুন ভবন কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিলেও এখনো তা উদ্বোধন করা হয়নি। তারপরও দুটি ভবন মিলে ৫০ শয্যায় রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় পুরোনো ভবনটি অপসারণ করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৯ শয্যার ভবনে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম।
এছাড়া উপজেলার মঙ্গলকান্দি ২০ শয্যা হাসপাতালটি ২০১৪ সালে নির্মাণ শেষে কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিলেও এখনও পর্যন্ত ওই হাসপাতালে চিকিৎসক-কর্মচারীসহ জনবলের পদই সৃষ্টি হয়নি। এতে করে ওই হাসপাতালটিতে শুধুমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে প্রাথমিক সেবা চালু রয়েছে।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, এক কক্ষে দুই-তিনজন করে বসে রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা। নার্সরাও বারান্দায় ও মেঝেতে বসে সেবা দিচ্ছেন। ডেলিভারি ওয়ার্ডেও থাকতে দেওয়া হয়েছে অনেক রোগীকে। এতে করে জরুরি মুহূর্তে রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শয্যা না থাকায় রোগীদেরকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার রেজিয়া বেগম বলেন, প্রতিদিন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। জায়গা না পেয়ে দূর থেকে আসা অনেক রোগীকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে জেলা সদর হাসপাতালে। এছাড়া রোগীর অতিরিক্ত চাপের কারণে গণশৌচাগারের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন শয্যার চেয়ে অনেক বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। নতুন ভবনে শয্যার সংখ্যা বাড়ালে রোগীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন।
উপজেলার চর খোয়াজ এলাকার ফাতেমা আক্তার বলেন, রাত থেকে তার ডায়রিয়া শুরু হয়। গতকাল সকালে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। কোনো শয্যা খালি না থাকায় মেঝেতে রেখে তাকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. আবদুল্লাহ নামে এক শিশুর মা বলেন, তার ছেলেকে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। শয্যা খালি না থাকায় দোতলার সিঁড়ির ওপর রাখা শয্যায় থাকতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উৎপল দাশ বলেন, হাসপাতালটি ৫০ শয্যার কথা বলা হলেও এখনও পর্যন্ত ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে। এখানে চিকিৎসক-নার্সসহ সব ধরনের জনবলের সংকট রয়েছে। শয্যা ও কক্ষ সংকটে চিকিৎসা সেবার সঙ্গে দাপ্তরিক কার্যক্রমেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন পর নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হলেও কাজের কোনো গতি দেখা যাচ্ছে না।
সোনাগাজী প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজীতে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে ১৯বছর পর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার হোসেন মামুন (৪২) কে বুধবার রাতে ফেনী শহরের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কাসেম বলেন, সুমন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব, ফেনী ক্যাম্পের সদস্যরা ও সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
জাবেদ হোসাইন মামুন/ফেনী/আজকের সময়।
সোনাগাজী প্রতিনিধি :
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। ফেনীর সোনাগাজীতে কিট-সংকটের কারণে চার’দিন ধরে এ অবস্থা বিরাজ করছে। এতে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদেরকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুই হাজার কিটের চাহিদা উল্লেখ করে সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। কিট পাওয়া গেলে আবারো ডেঙ্গু পরীক্ষা শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত দুই মাস ধরে উপজেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি ও কাশিসহ মাংসপেশিতে ব্যথা নিয়ে প্রতিনিয়ত শত শত রোগী হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এতদিন ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট থাকলেও রোববার থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ পৌর শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট-সংকট দেখা দেয়। এতে রোগীরা জ্বর নিয়ে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পরীক্ষার জন্য গিয়েও ফিরে যান। অনেকে জেলা শহরের হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে ছুটছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩২৪ জনের পরীক্ষায় ১০ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে চলতি আগস্ট মাসে গত শনিবার পর্যন্ত ১৬০ জনের ডেঙ্গু পরীক্ষায় ৫ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। তবে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আরও বেশি পরীক্ষাসহ ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। ওই হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগ থেকে অন্তত ৫৯৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় তিনশো রোগীর জ্বর, শরীর ব্যথা, সর্দি-কাশি ও বমি ছিল।
মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভার তুলাতলী এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহিম তার তিন বছরের মেয়ে ইসমাত জাহানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে যান। তিনি বলেন, হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন কিট নেই। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। পরীক্ষা করতে না পারায় জ্বর নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।
উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর চর চান্দিয়া এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম বলেন, চারদিন ধরে তার প্রচণ্ড জ্বর। একইসঙ্গে শরীর ব্যথা ও বমি হচ্ছে। উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষা করতে পারেননি। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোনাগাজী ক্লিনিকের স্বত্ত্বাধিকারী ডা. মো. নুর উল্যাহ বলেন, গত দুই মাসে তার ক্লিনিকে প্রায় দুই শতাধিক লোকের ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে চার নারীসহ ১৫ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে ক্লিনিকে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য গত তিনদিন পরীক্ষা বন্ধ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনোলজিস্ট মো. মাহবুব আলম বলেন, কিট সংকটের কারণে রোববার ও সোমবার দুইদিন হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্ত করতে আসা রোগীদের পরীক্ষা হয়নি। হঠাৎ করে কিট শেষ হয়ে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ৩০টি কিট দেওয়া হয়। যা একদিনেই শেষ হয়ে গেছে।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উৎপল দাশ বলেন, হাসপাতালটিতে দুই হাজার কিট সরবরাহের জন্য চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগত রোগীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ফেনী প্রতিনিধি :
ঢাকা থেকে অপহৃত এক কিশোরীকে (১৪) ফেনীর সোনাগাজী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার কৃতরা হলো- মো. ইব্রাহীম রাজু, তার পিতা মো. আবুল হোসেন ও ভগ্নিপতি নূর উদ্দিন। তাদেরকে সোমবার (১০ জুলাই) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
ভূক্তভোগির পরিবার ও পুলিশ জানায়, ইব্রাহীম ঢাকার চকবাজার থানার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকেশ্বরী এলাকায় একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ওই এলাকার এক কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করত। তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শনিবার সকালে তার নেতৃত্বে ৫-৬ জন তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে ফেনীর সোনাগাজীর নিজ বাড়িতে নিয় যান। ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার ও তিন আসামিকে গ্রেফতার করে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান বলেন, ‘কিশোরীকে সোমবার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে হাজীর করা হলে, আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরন করেন।
সোনাগাজী প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজীতে আপন চাচাতো ভাইকে হত্যা করে আসামি সিরাজুল ইসলাম ১৯ বছর পালিয়ে ধরা খেলো র্যাবের জালে। সূত্রে জানা গেছে, নিহত ভিকটিম মোঃ শহিদুল্লা (২৬) ফেনী জেলার সোনাগাজী থানাধীন চর সাহাভিকারী এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ সিরাজুল ইসলাম আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মনামে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এর আভিযানিক দল গত ০৩ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ বর্ণিত স্থানে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৪৪), পিতা- মৃত আহছান উল্লাহ, গ্রাম- চর সাহাভিকারী, থানা- সোনাগাজী, জেলা-ফেনী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মনামে আত্মগোপন করে ছিল।
নিহত ভিকটিমের সাথে তার আপন চাচার সাথে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ-বন্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে ২০০৪ সালের ২৮ মে বিকালে নিহত ভিকটিম শহিদুল্লা এবং তার আপন দুই ভাই তাদের পুকুর থেকে কাটা গাছ ট্রলি গাড়ীতে উঠানোর সময় চাচা এবং চাচাতো ভাইয়েরা সঙ্গবদ্ধভাবে নিহত ভিকটিম এবং তার ভাইদের উপর অতর্কিতভাবে লাঠি, লোহার রড এবং দারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে গুরতর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। ২৯ মে ২০০৪ ইং তারিখ ভিকটিম মোঃ শহিদুল্লা ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুবরণ করেন।
উক্ত ঘটনায় নিহত ভিকটিমের ছোট ভাই বাদী হয়ে ফেনী জেলার সোনাগাজী থানায় ০৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের এর পর থেকে আসামী মোঃ সিরাজুল ইসলাম আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।
আসামী মোঃ সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত পুলিশি তদন্ত এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আসামীদের অনুপস্থিতিতে ভিকটিম মোঃ শহিদুল্লা (২৬) কে হত্যার দায়ে গত ০৭ আগস্ট ২০১২ সালে আসামী মোঃ সিরাজুল ইসলাম’কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বৎসরের কারাদন্ড প্রদান করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।