

মোঃ আলাউদ্দিন লিংকন, স্টাফ রিপোর্টার :
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) উৎসব মুখোর পরিবেশে
অনুষ্ঠিত হয়েছে সেনবাগ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২২ইং অভিষেক অনুষ্ঠান৷
বেলা ১১টায় সেনবাগ উপজেলা অডিটোরিয়াম হল রুমে
অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
নোয়াখালী(২) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এমপি আলহাজ্ব মোরশেদ আলম৷
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফ বি সি সি আই এর পরিচালক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক, নোয়াখালী জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবু, সেনবাগ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কবির, সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী৷
প্রধানবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু নাছের দুলাল সহ সেনবাগ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সকল সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন৷
অভিষেক অনুষ্ঠানে সেনবাগ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি আবদুল ওদুদ সভাপতিত্ব করেন৷এবং নব-নির্বাচিত সহ-সভাপতি নুরুল হুদা শাহাজান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্যাহ আল মামুন যৌথ পরিচালনা করেন৷
এমএস/আজকের সময়
ফেনী প্রতিনিধি, আজকের সময় :
ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের নোয়াবাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী সফিউল্লাহ। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও রোটারি ক্লাবের পক্ষ থেকে ফেনী সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে রবিবার সকালে মালামালসহ একটি মুদি দোকান উপহার পেয়েছেন তিনি।
দোকান উপহার পেয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে প্রতিবন্ধী সফিউল্যাহ বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে কোনো কাজ করতে পারতাম না। তাই ভিক্ষা করে সংসার চালাতাম। সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে আমাকে একটা মুদি দোকান করে দিয়েছে। আমি আর ভিক্ষা করবো না। এ দোকান করে আমি আমার জীবিকা নির্বাহ করতে পারবো। আমি সবার সহযোগিতা চাই।
ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে চলছেন। তারই আলোকে আজকের এ ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী বলেন, ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে সফিউল্যাহ’র মতো ব্যক্তিরা।
সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে পারলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। সমাজসেবা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ফেনী সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি সমাজসেবা কার্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম। শর্শদি এলাকার একজন ভিক্ষুক ও একজন কর্মহীন ব্যক্তিকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, একজন ভিক্ষুক পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন এটি আশাব্যঞ্জক বিষয়। ফেনী সদর উপজেলাকে ভিক্ষুক, বাল্যবিয়ে, শিশু শ্রমসহ সব অসংগতি দূর করতে সর্বস্তরের নাগরিকদের কাজ করে যেতে হবে। ভিক্ষুকমুক্ত উপজেলা গড়ার মাধ্যমে ফেনী সদর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আজকের সময় ডেস্ক: বাজেটে দারিদ্র্য বিমোচনে আরও বরাদ্দ দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া গেলে দরিদ্রদের কষ্ট কিছুটা কমত। তবে সরকার চাইলে চূড়ান্ত বাজেটে দারিদ্র্য বিমোচন খাতে বরাদ্দ বাড়াতে পারে।
গতকাল রোববার রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে বাজেট-পরবর্তী এক প্যানেল আলোচনায় আহসান এইচ মনসুর এসব কথা বলেন।
আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) আয়োজনে প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাজেট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এখানে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ আছে। একটা হলো রাজস্ব-সংকট। কিন্তু এই সংকট কাটাতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রস্তাবিত বাজেটে নেই। রাজস্ব ঘাটতির কারণে প্রতিবছর শেষ পর্যন্ত বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করতে পারে না সরকার। কিন্তু এই সমস্যা মোকাবিলায় মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি যেসব পরিকল্পনা রাজস্ব বোর্ডের নেওয়া উচিত, সে রকম কিছু বাজেটে নেই।
পাশাপাশি বাজেট ভর্তুকিকেও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করেন আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই ভর্তুকি থাকে, কিন্তু এবার ভর্তুকির পরিমাণটা অনেক বেড়েছে। এটা হয়তো আরও বাড়বে। অর্থমন্ত্রীও তেমন আভাস দিয়েছেন। সে জন্য আমরা চিন্তিত।’
বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে জানিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এ অবস্থায় বাজেটে ঘাটতির অর্থ কীভাবে জোগাড় করা হবে, সেটাও চ্যালেঞ্জ। আমাদের প্রায় ৯৫ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ আনতে হবে। এটা সহজসাধ্য নয়। আর অভ্যন্তরীণ ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে। কিন্তু এত টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়ার পর ব্যক্তি খাতের জন্য কতটুকু অবশিষ্ট থাকবে, সেটাও একটা চিন্তার বিষয়।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সক্ষমতা আরও বৃদ্ধির তাগিদ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এনবিআর তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। এনবিআর কার্যকর ভূমিকা না রাখলে সব উন্নয়নকাজ মুখ থুবড়ে পড়বে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বাজেটে যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলো ইতিবাচক। কিন্তু এর বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় আছে। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের নিচে ধরা হয়েছে। আর প্রস্তাবিত বাজেটে সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন একরকম অবাস্তব। এ ছাড়া রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রাজস্ব বোর্ডের দক্ষতা ও করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন তিনি।
বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে মির্জ্জা আজিজ বলেন, যে দেশে স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা বেশি বিনিয়োগ করেন, সেখানে এফডিআই বা বিদেশি বিনিয়োগও বেশি আকৃষ্ট হয়। অর্থাৎ বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
(আজকের সময়/এস এইচ/জুন ১৫, ২০২২)
আজকের সময় ডেস্ক: করোনায় চাকরি হারানো ব্যাংকাররা রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন করেছেন। আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে চাকরি হারানো অর্ধ শতাধিক কর্মী অংশ নেন। এ সময় তাঁরা চাকরি ফেরত চেয়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা জানান, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই করোনাকালে কয়েক হাজার ব্যাংকারকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এমনকি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায়ও কিছুসংখ্যক কর্মকর্তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের সেপ্টেম্বরে চাকরিচ্যুত ব্যাংকারদের চাকরিতে পুনর্বহালের আদেশ জারি করে। ওই নির্দেশনার পর চাকরিচ্যুত অনেক ব্যাংকার চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন করেন। কিন্তু ব্যাংকগুলো চাকরিচ্যুত কর্মীদের পুনর্বহালে কার্যকর তেমন কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না।
এ কারণে চাকরিচ্যুত ব্যাংকাররা আর্থিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থায় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকাররা অবিলম্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন জানান। এ সময় তাঁরা এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
(আজকের সময়/এস এইচ/জুন ১৫, ২০২২)