উদ্যোক্তার কথা
এম শরীফ ভূঞা, ফেনী :
ফেনীর দাগনভূঞায় প্রথমবারের মতো প্রথমবারের মতো চার রঙের ফুলকপি চাষ তিনগুণ লাভ করেছেন হাসান আহম্মেদ। ইতিমধ্যে তিনি ২০ হাজার টাকা পুঁজি ব্যয় করেছেন ফুলকপি চাষে।
দাগনভূঞা উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা লুৎফল হায়দার রুবেল জানান, রঙিন ফুলকপির জন্য বাড়তি কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। রঙিন ফুলকপিতে পোকার কোনো আক্রমণ নেই। তাই কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। ফলে সবজি বিষমুক্ত রাখা সম্ভব হয়। এই কপি অনেক ভালো সেদ্ধ হয় এবং স্বাদও অনেক।
জানা যায়, দাগনভূঞা উপজেলার জগতপুর গ্রামের হাসান আহম্মেদ ২০১৪ সালে ভারতের ব্যাংলোর থেকে কম্পিউটার সাইন্সে বিএসসির পাঠ চুকিয়ে বাড়ি ফিরে আইটি ব্যবসা শুরু করেন। পাঁচ বছর আগে পরিবারের চাহিদা মেটাতে তিনি বাড়ির পাশে সবজি চাষের মাধ্যমে কৃষির প্রেমে পড়েন। এ বছর ঢাকা থেকে দেড় হাজার রঙিন ফুলকপির বীজ সংগ্রহ করে বাড়ির পাশে ৩৩ শতাংশ জমিতে বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপির চাষ করেন। এতে বীজ, সেচ, জৈব ও রাসায়নিক সারের খরচ বাবদ প্রতি কপিতে ব্যয় হয়েছে ১৫ টাকা। রঙিন ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা থাকায় জমিতেই প্রতি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। প্রতিটি কপির ওজন হয়েছে দেড় থেকে ২ কেজি। এরই মধ্যে ৮০০ কপি বিক্রি করে পেয়েছেন ৮৫ হাজার টাকা। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক কৃষক আগ্রহ নিয়ে নতুন এই ফুলকপি দেখতে আসছেন। অনেকেই আগামীতে এই কপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
কৃষি উদ্যোক্তা হাসান আহম্মেদ বলেন, কৃষি প্রজেক্ট শুরুর পর রঙিন ফুলকপি চাষে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছি। মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে আমার সবজি বাগানে। দূর- দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক কৃষক আগ্রহ নিয়ে নতুন এই ফুলকপি দেখতে আসছেন। অনেকেই আগামীতে এই কপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অর্গানিক ভেজিটেবল পেইজে অনলাইনে মার্কেটিং করার পর জমিতেই বিক্রি হচ্ছে সবজি, আড়তে বা খুচরা বাজারে নিতে হচ্ছে না। এবারের অভিজ্ঞতা নিয়ে আগামীতে ব্যাপক আকারে রঙিন ফুলকপি আবাদের পরিকল্পনা রয়েছে। কোনো কৃষক সহায়তা চাইলে সব ধরনের সহায়তা করব।
ফেনীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোহাম্মদ একরাম উদ্দিনের নেতৃত্বে জেলা ও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা নতুন জাতের রঙিন ফুলকপির মাঠ পরিদর্শন করে উদ্যোক্তার সঙ্গে তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, গতানুগতিকের বাইরে নতুনের প্রতি ভোক্তাদের আকর্ষণ বেশি, তাই লাভও অধিক।
দাগনভূঞা ইয়ুথ সোসাইটির প্রকাশনা সম্পাদক এটিএম আতিকুল ইসলাম জানান, বেকার যুব সমাজ কৃষিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বনির্ভর হওয়া এখন যুগোপযোগী দাবি।
জগতপুর গ্রামের কৃষক মো. ইব্রাহিম বলেন, আগামী বছর আমিও এ রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী। এ জাতের বীজ জেলা পর্যায় পাওয়া গেলে তবে আমিও রঙ্গিন ফুলকপি চাষ করব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ফেনী জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নয়ন মনি সূত্রধর বলেন, রঙিন ফুলকপির মধ্যে বিটা ক্যারোটিন এবং এন্টি অক্সডিন্টে থাকার কারণে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জুলফিকার জানান, আগামীতে এই কপির চাষাবাদ বাড়াতে কৃষককে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হবে। এ জাতের কপি রোপণের ৮০-৮৫ দিনের মধ্যে বিক্রি করা যায় এবং সাধারণ কপির মতোই চাষাবাদ করতে হয় শুধু জৈব সার প্রয়োগ করে।
এম শরীফ ভূঞা, ফেনী :
চলতি মৌসুমে ফেনী জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নতুন করে কুল বাগান বেড়েছে। পরিকল্পিত বাগান, বাড়ির আঙিনা ও ছাদ বাগানে এর চাহিদা বেড়েছে। এ মৌসুমে উৎপাদন হবে এক হাজার মেট্রিক টনের বেশি কুল, যার বাজার মূল্য অর্ধকোটি টাকার বেশি। এটি এ জনপদের জন্য আশার আলো মনে করছেন স্থানীয়রা।
ফেনীতে বাণিজ্যিকভাবে প্রসার হচ্ছে পুষ্টিকর ফল কুলের আবাদ। ভরা মৌসুমে কাঁচা-পাকা কুলে থোকায় থোকায় ভরে গেছে বাগানের গাছগুলো। বলসুন্দরি, কাশ্মীরি ও টক-মিষ্টি কুলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় জেলায় ছোট-বড় বাগান গড়ে উঠেছে। এর আগে অন্য জেলার কুল এ অঞ্চলের চাহিদা মেটালেও এবার ফেনীর উৎপাদিত কুলের চাহিদা বেড়েছে। অল্পসময়ে লাভজনক হওয়ায় কৃষক ও শিক্ষিত বেকার যুবকরা ঝুঁকছেন ফলটি চাষে।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ মৌসুমে জেলায় কুলের আবাদ হয়েছিল ৮৬ হেক্টর জমিতে। তখন ফলন এসেছিল ৯৩৮ মেট্রিক টন। চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৯০ হেক্টর জমিতে কুলের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার ৮০ মেট্রিক টন।
উপজেলা উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মতিউর রহমান মানিক জানান, প্রতিকেজি কুল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৫০ টাকায়। লক্ষ্যমাত্রার আলোকে উৎপাদন হলে বাজার দাঁড়াবে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বেশি।
জেলা সদরের কালিদহ ইউনিয়নের কালিদাস পাহালিয়া নদী তীরের কে পাহালিয়া অ্যাগ্রো পার্কে ১০ একর জমিতে এক হাজারের বেশি গাছের বাগান করেছেন স্থানীয় কয়েকজন উদ্যোক্তা। বিগত বছর তারা ১০ লক্ষাধিক টাকার কুল বিক্রি করলেও এবার সেই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। বাগানটির উদ্যোক্তারা জানান, নদী পাড়ের পরিত্যক্ত খালি জমিকে কাজে লাগিয়ে তারা বাগানটি করেছেন এবং ফলনও মিলছে ভালো। উদ্যোক্তারা জানান, দুই বছর মিলিয়ে ২৫ লক্ষাধিক টাকার ফলনের আশা করছেন তারা।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব জানান, যেসব জমিতে ধান-সবজি হয় না কিংবা পতিত, সেসব জমিকে কাজে লাগিয়ে কুলের বাণিজ্যিক আবাদ করা যায়। এক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকে।
দাগনভূঞা প্রেসক্লাবের প্রশিক্ষণ সম্পাদক এটিএম আতিকুল ইসলাম জানান, বাগানে এসে নির্ভেজাল পুষ্টিকর বিভিন্ন রং ও স্বাদের কুল পেয়ে উচ্ছ্বাসিত। উৎপাদিত এসব কুল বাজারে নিতে হয় না। দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারাই বাগানে এসে কিনে নিয়ে যেতে দেখলাম, আমরাও দেখতে এসে নিলাম। বাজারের কুলের চাইতে বাগানের এসব কুল তাজা, স্বাদও বেশি।
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রনে বিজনেস কনফারেন্সে নাজরাতুন নাঈমের যোগদান
আজকের সময় রিপোর্ট :
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস নেটওয়ার্ক ডিরেক্টর নাজরাতুন নাঈম ৯ ডিসেম্বর পোল্যান্ড সরকারের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রনে বিজনেস কনফারেন্সে যোগদানের জন্য ডেনমার্ক হয়ে পোল্যান্ড গেছেন।
তিনি পোল্যান্ড থেকে জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও ইতালি হয়ে ১৮ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশে ফিরবেন। নিরাপদে ফিরে আসতে তিনি সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
আজকের সময় প্রতিবেদক :
সামাজিক সংগঠন ফিউচারাইজার্স ইয়ুথ ওমেন স্যোশাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে ভ্যান উপহার পাচ্ছে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোদালিয়া ফকিরাজারের মোঃ নুরুল হক। সংগঠনের স্বাবলম্বী প্রজেক্টের আওতায় তাকে এ ভ্যান উপহার দেয়া হচ্ছে। মটরচালিত ভ্যান পেয়ে নুরুল হকের দিন বদলে যাবে, স্বনির্ভর হবে একটি পরিবার।
জগন্নাথদিঘী ইউনিয়নের কোদালিয়া ঈদগাহ প্রাঙ্গনে ২৮ জুন বুধবার তার হাতে এ ভ্যান তুলে দেয়া হবে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সিঙ্গাপুর আওয়ামীলীগ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: ফয়েজ উল্যাহ ভূঁইয়া। বায়োস্কপ ইভেন্টস্ এন্ড ট্যুরিজম লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাখাওয়াত উল্যাহ শান্ত ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় ও দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি সিঙ্গাপুর প্রবাসী বেলায়েত হোসেন ভূইঁয়া, ফেনী সাংবাদিক ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক এম শরীফ ভূঞা, ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সম্পাদক নুর আলম দুলাল, সময়ের গর্জন সম্পাদক আরিফুর রহমান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদুল আলম রাসেল প্রমুখ।
জয়বাংলা পার্সোনালিটি শাইনিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন স্বপ্নীল চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম টিপু
আজকের সময় প্রতিবেদক :
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ৭৬ জন্মদিনে অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে জয়বাংলা পার্সোনালিটি শাইনিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন স্বপ্নীল চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম টিপু ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ৩০ শে সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার সন্ধ্যা রাজধানীর সেগুনবাগিস্হ কচিকাচার মেলা মিলনায়তনে জয় বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদ এর আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত।
উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি,ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর এম.পি, সাবেক সফল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।বিশেষ অতিথি, প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, শেরে-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী খন্দকার মাইনুর রহমান সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম। এতে শ্রেষ্ঠ সংগঠন হিসেবে জয়বাংলা পার্সোনালিটি শাইনিং অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন সময়ের প্রিয় সংগঠক, সামাজিক সংগঠনের অন্যতম নেতা, ব্যাংকার ও উন্নয়ন সমাজকর্মী, সাবেক ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজের ভিপি, স্বপ্নীল এর সম্মানিত চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম টিপু
আজকের সময় প্রতিবেদক :
উদ্যাক্তা তৈরীর ফ্রী সেমিনারে অংশগ্রহণ করুন। আপনি শিক্ষিত কিন্তু বেকার বসে আছেন। চাকরি কবে হবে ঠিক নেই! বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন কিন্তু অনেক সময় ও টাকার ব্যাপার। তাহলে বসে না থেকে নতুন কিছু করুন।
উদ্যোক্তা হউন, নিজের ভাগ্য নিজেই গড়ুন। একটি সুযোগ বদলে দিতে পারে আপনার জীবন। অংশগ্রহণ করুন আমাদের – “Entrepreneur Free Seminar programme” এ ফ্রী সেমিনারে অংশ নিন, আর হয়ে উঠুন উদ্যোক্তা সেমিনারের পর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আমরা আপনাকে সহযোগিতা করবো।
আগামী ৮ অক্টোবর ঢাকার গুলশানে অনুষ্ঠিত হবে এই সেমিনার৷ নিজের জীবনকে বদলে দিতে এখনই আপনার আসন নিশ্চিত করুন- 01629607367 এই (হোয়াটসঅ্যাপ এ নাম, ঠিকানা, নাম্বার লিখে মেসেজ করুন ) নাম্বারে ফোন করে / ইনবক্সে নাম, ঠিকানা নাম্বার, লিখে মেসেজ করুন । আসন সংখ্যা সীমিত। * তারিখঃ আগামী- ৮ ই অক্টোবর, ২০২২ (শনিবার) * স্থানঃ গুলশান-১ (সময়, স্থান ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হবে), ঢাকা। * সময়ঃ সকাল ১১.০০ মিনিট এবং বিকাল ৩.টা * রেজিষ্ট্রেশন ফ্রি ( 01629607367 নাম্বারে ফোন করে আসন নিশ্চিত করুন) * বয়সসীমাঃ ১৮+ থেকে শুরু (নারী-পুরুষ সবাই অংশ নিতে পারেন)
সোনাগাজী প্রতিনিধি :
সোনাগাজীতে ভয়াবহ লোডশেডিং ও প্রচণ্ড গরমে একটি পোল্ট্রি খামারে ৮০০ ব্রয়লার মুরগি মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামার মালিক নজরুল ইসলাম পলাশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের মধ্যম সুজাপুর গ্রামের খুরশিদ আলম ভূঞার বাড়ির খামারে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক ও এলাকাবাসী জানায়, নজরুল ইসলাম পলাশ গত বছর থেকে বাড়ির পাশে একটি খামারে ব্রয়লার মুরগি পালন করে আসছেন। গত দুই দিন বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রচণ্ড গরমের মধ্য ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে পুরো এলাকা। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুতের জন্য বার বার ফোন দিয়ে কোনো সাড়া পাননি ওই খামার মালিক। প্রতিটি মুরগি প্রায় দেড় থেকে দুই কেজি ওজনেফর। বিকেল ৩টার দিকে মুরগিগুলো চোখের সামনে একে একে মারা যায়।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, পলাশ নতুন খামারি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্য ব্রয়লার পালনে আগ্রহী হয়ে ওঠেন খামার মালিক তিনি। তার অনেক স্বপ্ন ছিল মুরগি পালনে। কিন্তু আজ তার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।
খামার মালিক নজরুল ইসলাম পলাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বর্ধিত মূল্যে পোল্ট্রি খাদ্য খাইয়ে লাভের আশায় মুরগিগুলো খামারে লালন-পালন করেছি। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে তার ৮০০ মুরগি মারা যায়। এতে তার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সামনের দিকে খামারটি পরিচালনা নিয়ে চোখে ঘোর অন্ধকার দেখছেন।
এ ব্যপারে সোনাগাজী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী সনৎ কুমার ঘোষ বলেন, গত দুই-তিন দিন যাবত জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ ফেল করেছিল। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চাহিদার তুলনায় ৪৪ শতাংশ বিদ্যুৎ পেয়েছি। এছাড়া ৩৩ কেভি ভোল্টেজের মধ্যে দশ কেভি ভোল্টেজে নেমে যায়। যার ফলে চাহিদা মোতাবেক নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে।
মোঃ মহি উদ্দিন :
পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলমানদের দ্বিতীয় উৎসব। আর মাত্র কয়েক দিন পরেই উদযাপন করা হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।চাঁদ দেখা মাত্র চর্তুরদিকে গুঞ্জন চলছে কোরবানি নিয়ে।বাড়িতে বাড়িতে চলছে শরিকদারদের আলাপ আলোচনা। অনেকেরই মতে বেশি দামে ক্রয় করা যাবে না।তার পরেও জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট। খামারিরা হচ্ছে বাজার মূখী।আরও কয়েক দিন সময় থাকায় বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা একটু কম।গতকাল ৩ জুলাই পরশুরাম উপজেলা সর্ববৃহৎ পশুর হাট পরশুরাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে বিপুল সংখ্যাক গরু দেখা গেলেও নেই তেমন ক্রেতা। দুই একটা বিক্রি হলেও দাম নিয়ে স্বস্তি ক্রেতারা। পরশুরাম বাজারে দেশীয় গরুর পরিমাণ বেশি দেখা যায়।অন্য দিকে গোখাদ্যের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এমনিতেই খামারিরা হিমশিম খাচ্ছে বলে জানান খামারীরা । দ্রুত বিক্রি করার জন্য আগ্রহ দেখা যায়। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন খামারী ফেনীর সময় কে জানান, গোখাদ্য দাম হিসেবে গরুর দাম তেমন নেই।এভাবে হলে ভবিষ্যতে খামারিদের সংখ্যা কমে যাবে। চাঁদ দেখা যাওয়ার পর অনেকের মাঝে আগ্রহ নিয়ে বাজারে আসতে দেখা যায়। তেমন বেশি গরু বিক্রি না হলেও দরকষাকষি করতে দেখা যায়। বিশ্ব মহামায়া করোনা পাদুর্ভাবের কারণে মানুষের হাতে তেমন টাকা পয়সা নেই। যারা আগের বছর লক্ষ টাকার উপরে গিয়ে গরু কিনতে দেখা গেছে বর্তমানে তাদের চাহিদা লক্ষ টাকার চেয়ে অনেক কম দামে গরু কিনার চিন্তা করছেন। ।বড় গরু চেয়ে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। গতকাল পরশুরাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আবদুল হাই কুসুম লাল রঙের দুটি বড়ো ষাঁড় নিয়ে আসেন গোখাদ্য দাম বেশি থাকায় বেশী থাকায় বেশী লাভের আশা না করে ৪,১০,০০০ (চার লক্ষ দশ হাজার টাকা) টাকা বিক্রি করে দেন। তিনি বলেন লাভ তেমন না হলেও খরচ উঠে এসেছে। আল্লাহ বাঁচাইচে আমারে।আল্লাহ,আল্লাহ। হাটের ইজারাদার সুজন বলেন পশুর সংখ্যাক বেশি থাকলেও তেমন উপস্থিত নেই ক্রেতা।সন্ধায় পর্যন্ত ৫০/৬০ এর বেশির গরু বিক্রি হয় নি। খামারী জামাল উদ্দিন বলেন, গরু যে পরিমাণ দেখা যায় বেচা বিক্রি তেমন নেই । একসময় গরু বাজারে কিছু দালাল দেখা গেলেও বর্তমানে তেমন দালাল নেই বললে চলে। দালালের কারণে বাজার সরগরম দেখাযেত।বেশির ভাগ ক্রেতারা ঘুরাঘুরি করে চলে যায়।