এস.এন আবছার, সোনাগাজী :
বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সহোচর, ফেনী-৩ আসন থেকে তিন বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাস্টার এবিএম তালেব আলীর ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী কেটে গেলো নিরবে। দিবসটিতে কোন আয়োজন ছিলোনা স্থানীয় আওয়ামীলীগ বা কোন সামাজিক সংগঠনের। ০৭মে ২০১৯ তারিখে বার্ধক্যজনিত কারনে অসুস্থ হয়ে তিনি মৃত্যু বরণ করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও দক্ষ রাজনিতীবিদ এবিএম তালেব আলী ফেনী-৩ সংসদীয় আসন থেকে যথাক্রমে ১৯৭০ সাল, ১৯৭৩ সাল ও ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ৩ বার সংসদ সদস্য, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবিএম তালেব আলী ৭মে ২০১৯ তারিখ সকাল ৯টায় ফেনী শহরের নাজির রোড়স্থ নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৮৯ বছর।
বর্ষিয়ান এই রাজনিতীবিদের মৃত্যুদিবসে কোন আয়োজন না থাকার বিষয়ে তার জম্মস্থান চরমজলিশপুরের ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ হোসেন বলেন, তালেব আলী আমাদের ইউনিয়নের কৃতি সন্তান, তার মৃত্যু বার্ষিকীতে একটা অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা ছিলো, তবে চলমান এসএসসি পরীক্ষা সহ নানাবিধ কারনে সেটা আর হয়ে উঠেনি। সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিরণ বলেন, তালেব আলী ছিলেন জাতির পিতার বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সহোচর, সোনাগাজী বাসীর গর্ব, উনার মৃত্যু বার্থিকীতে একটা আনুষ্ঠানিকতা আসলে প্রয়োজন ছিলো।
সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রফেসর মফিজুল হক বলেন, তালেব আলী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নিবেদিত কর্মি, দলের জন্য অনেক শ্রম ঘাম উনার রয়েছে। তার মৃত্যু বার্ষিকীতে কোন আয়োজন না থাকা দুঃখজনক, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ উদ্যোগ নিলে আমরা সবাই থাকতাম, তারা কেন উদ্যোগ নেননি সে বিষয়ে আমি খোঁজ নিবো।