ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজীতে ধর্ষণের মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর এলাকার একটি বাসা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম মো. আবুল কাশেম (৫৫)। তিনি সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, সোনাগাজী উপজেলার এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গত ১৪ জুলাই তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দার। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে একজন হলেন আবুল কাশেম।
এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডা এলাকা থেকে একই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি লাতু মিয়াকেও গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুই আসামি হলেন একই উপজেলার লাতু মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম।
গত ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে ফেনী শহরের মিজান রোডের একটি বাসা থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে কিশোরী ধর্ষণের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিই গ্রেপ্তার হলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১৩ মে রাতে কয়েক যুবক সোনাগাজী উপজেলার একটি বাড়িতে দরজা ভেঙে ঢোকেন। পরে ওই যুবকেরা ওই বাড়ির গৃহবধূকে বেঁধে রাখেন ও গৃহবধূর কিশোরী মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পরের দিন ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ১৩ আগস্ট সোনাগাজী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম চার আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার শুনানির সময় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৯ বছর পর চলতি বছরের ১৪ জুলাই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
র্যাব-৩-এর উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আল আমিন সরকার জানান, আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় আসার পর থেকে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও আসামিদের খোঁজে মাঠে নামেন। কিন্তু কোথাও তাঁদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্প্রতি পুলিশের সহায়তায় তিন আসামির মধ্যে লাতু মিয়া ও আবুল কাশেমের ছবি ও মুঠোফোন নম্বর র্যাবের হাতে আসে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আবুল কাশেমকে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবুল কাশেমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার রাতেই সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদ হোসেন বলেন, আবুল কাশেমকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।