Home » ফেনীতে উদ্ধার হওয়া ১০৮ টি কচ্ছপ অবমুক্ত

ফেনীতে উদ্ধার হওয়া ১০৮ টি কচ্ছপ অবমুক্ত

by আজকের সময়

ফেনী প্রতিনিধি, আজকের সময় :

ফেনীতে বিপন্ন প্রজাতির ১০৮টি উদ্ধারকৃত সুন্দি কাছিম কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়েছে। শনিবার ( ২০ মে) তারিখে দুপুর ১২ টায় কাজিরবাগ ইকোপার্কে উদ্ধারকৃত কিছু কাছিম অবমুক্ত করা হয়েছে। পরে বাকীগুলো ফেনী নদীতে অবমুক্ত করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টায় ফেনী সদর থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিসিক মোড় (গ্যাস কোম্পানী মোড়) হতে  ফেনী মডেল থানা বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে ৩ (তিন) টি ক্যারেটে মোট ১০৮টি(৮০ কেজি) কচ্ছপ ( সুন্দি কাছিম) উদ্ধার করা হয়।

বিপন্ন প্রজাতির সুন্দি কাছিম পাচার সংক্রান্তে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ইং ২০ মে ২০২৩ তারিখে সাড়ে ১১  ঘটিকার সময় থোয়াইঅংপ্রু মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল  নেতৃত্বে  দৌস মোহাম্মদ, ইন্সপেক্টর, শহর  পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সহ একটি বিশেষ অভিযানিক টিম ফেনী মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিসিক মোড় (গ্যাস কোম্পানী মোড়) এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সুন্দি কাছিম পাচারকারী কনক চন্দ্র দাস(৫৫), পিতা-উপানন্দ চন্দ্র দাস, মাতা-সমিতা বালা দাস, সাং-চরজাঙ্গালিয়া (দুর্লভ মেম্বার বাড়ী), থানা কমলনগর, জেলা-লক্ষ্মীপুর এর হেফাজত হইতে ৩টি ক্যারেটে মোট ১০৮টি সুন্দি কাছিম যাহার ওজন অনুমান ৮০ কেজি উদ্ধার করা হয়।

অবমুক্তকরন অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম এন্ড অপস্) মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের জানায়, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন চর এলাকার লোকজনদের নিকট হতে কাছিমগুলো সংগ্রহ করে পাচারকারী কনক চন্দ্র দাস।

পরবর্তীতে নিজ হেফাজতে রেখে বর্ণিত ব্যক্তি ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদারীপুর , সাতক্ষীরা ও খুলনায় দীর্ঘদিন যাবৎ কাছিম পাচার করে আসছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-২ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। তাই সুন্দি কাছিম হত্যা বা এর ক্ষতিসাধন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আটককৃত পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরো খবর