১১০
মোঃ মহি উদ্দিন , পরশুরাম :
পরশুরামে বন বিভাগের সারি রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু নাছের জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। বন সংরক্ষণেরর বদলে সারা দিন নিজের ধান্দা নিয়ে ব্যস্ত।টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য একমাত্র ব্যবহার করছে পরশুরাম বন অফিসে কর্মচারী ফারুক কে।পরশুরাম উপজেলা তিনদিকে ভারত।বনবিভাগের জায়গার অভাব নেই। যেখানে বন বিভাগের জায়গা সেখানে রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু নাছের জিয়াউর রহমান এর ধান্দা। পরশুরাম উপজেলা বনবিভাগের অফিস থেকে কোন সেবা নিতে গেলে পদে পদে হয় রানীর শিকার হতে হয় সেবা গ্রহীতাদের।টাকা ছাড়া কোন সেবা নিতে গেলে সাধারণ মানুষ কে লাঞ্ছিত হতে হয়। দীর্ঘদিন যাবত হয়রানির শিকার হতে হয়। সাধারণ মানুষ নিরবে সহ্য করায় এই রেঞ্জ কর্মকর্তা আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠছে।বন বিভাগের মামালা দিয়ে হয়রানি করা হবে এমন হুমকি দিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে পরশুরাম উপজেলার বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু নাছের জিয়া।কিন্তু টাকা দিলে যে কোনো সেবা দ্রুত পাওয়া যায়। প্রয়োজনে কল দিয়ে সেবার কাগজ পত্র পৌঁছে দেয় তার অফিসের কর্মকর্তা ফারুক। সরে জমিনে ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায় আবু নাছের জিয়ার বিরুদ্ধে।
বক্স মাহমুদ ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রুহুল আমিন জানান আমার বাবা অসুস্থ থাকায় ১২ সেগুন গাছ কাঠার জন্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়াদা শমসাদ বেগম এর নিকট থেকে অনুমতি নিই।কিন্তু পরশুরাম বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু নাছের জিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন উপজেলা বন অফিসে কর্মকর্তা ফারুকের সাথে দেখা করার জন্য। ফারুকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আজ সোমবার আপনি আমার সাথে বৃহস্পতিবার দেখা করবেন।বৃহস্পতিবার দেখা করার জন্য কল দিলে তিনি বলেন আমি মির্জা নগর আছি আসতে আসতে বিকেল হবে। বিকেলে ৪ টায় দেখা করবেন। ৪ টা ২০ মিনিটে দেখা করলে বলেন অফিসের খরচ আছে ১০ হাজার টাকা অফিস খরছ লাগবে। আমাদের জিয়া স্যার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন মুখে দাঁড়ি আছে ওনি ঘুস খায়না।এটা শুধু অফিস খরচ।নগদ ৫ হাজার টাকা এবং বাকি টাকা গাছ বিক্রি করলে দিব ঐদিন সন্ধা ৭ টার মধ্যে জিয়া স্যারের সীল চপ্পর দিয়ে কাগজ পত্র বুঝিয়ে দেন।কিন্তু ঘটনার নয় দিন পর ভোক্ত ভোগী রুহুল আমিন তার মামাতো ভাই সাংবাদিক তারে এব্যাপারে জানালে সাংবাদিক রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু নাছের জিয়াউর রহমান কে ফোন দেয়।এবং সাংবাদিক বলে নরনীয়া যার কাজ থেকে টাকা নিয়েছেন ওনি আমার ফুফাতো ভাই। এই দিন রাত ৯ টা তার বাড়িতে টাকা পৌঁছে দেয় পরশুরাম বন অফিসের কর্মকর্তা ফারুক। ফারুক কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানা আবু নাছের জিয়াউর রহমান আমার বস যা করার জন্য নির্দেশ দেয় তা করতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গাছ ব্যবসায়ী বলেন ভাই কি ব্যবসা করমু রেঞ্জ কর্মকর্তা জিয়া আমাদের জব করে দিতেছে। হয়রানির শেষ নেই।হারিয়ের না সময় মতো গাছ কেটে ডেলিবারি দিতে।প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা দিলেও টাকা ছাড়া সেবা মিলে না।তার সকল অপকর্মে হাতিয়ার বন কর্মকর্তা ফারুক। দুই একটা নিজের গাছ কাটলে হুমকি দেয়বনবিভাগের মামলা খুবই ভয়ংকর আমি মামলা করতে বাধ্য হব।প্রতিটি কাজের জন্য টাকা গুনতে হয় আবু নাছের জিয়াকে।সব সেবার মুলে টাকা।
সরে জমিনে ঘুরে দেখা যায় বন বিভাগের কাজ হল বন বিভাগ সংরক্ষণ করা সেখানে যেখানে সোয়াম ফরেস্ট বাতার গুলের গাছ উজাড় করে টাকার বিনিময়ে সরকারি জায়গা বসবাসের উপযোগী করে দিচ্ছেন।মহেশ পুস্করিণীতে বন বিভাগের জায়গায় টাকার বিনিময়ে ঘর বাড়ি বানিয়ে জীবন যাপন করছে মোঃ মোস্তফা, মোঃ জাহেদ, মোঃ সাহেদ,মোঃ হারুন,মাদু মিয়া,লাকী আক্তার, কালা মিয়া,জামাল উদ্দিন, ফারুক মিয়া, বিনুদ দাস। এভাবে এই ১৫/২০ পরিবার বাড়ি ঘর বেধে জীবন যাপন করছে। এতে মোট জনসংখ্যা হবে ৯০/১১০ জন। বিন বিভাগের জায়গা পরিনত হচ্ছে জন বসতী পূর্ণ এলাকা দিন দিন বন ভুমির গাছ হচ্ছে উজাড়। সরকার কোটি কোটি টাকার লোকসানের ঝুঁকির মুখে পড়তে হচ্ছে। বিনিময়ে হাতিয়ে নিয়েছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু নাছের জিয়াউর রহমান মোটা অংকের টাকা। শুধু পরশুরামে নয় মন্দার হাট বাজারের এক বাসিন্দা বলেন জিয়া একজন জালিম কর্মকর্তা।যেখানে যায় সেখানে মানুষের কপালে হয়রানি ছাড়া আর কিছু নেই। দেখতে নুরের মতো।কাজ করে হেরাউনের মতো।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ি আলগীর হোসেন জানান, মহেশ পুস্করনী মৌজায় ও বীর চন্দ্র নগর মোজায় ১৬৯ নং দাগে ২০০ শতাংশ জায়গার জন্য লাগিত এবং চলাচলের জন্য বনবিভাগের জায়গা ব্যবহার বাবদ ৩৫ হাজার টাকা ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নিয়ে যায়। কিন্তু ২০২৩ সালে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু নাছের জিয়াউর রহমান। ফিসারী আলমগীর হোসেন এবং জহিরুল ইসলাম অপারগতা প্রকাশ করায় তাদের সাথে বিরোধ দেখা দেয়।এভাবে বিরোধ দেখার কারণে স্থানীয় চাষি আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ পাওয়া যায়।এবং ফিসারী আলমগীর হোসেন এর বিরুদ্ধে প্রথমে ভুমি ধস্যু হিসেবে মামলা দায়ের করেছে এবং কাগজ পত্র কোটে জমা দিলে মামলা খারিজ হয়ে যায়। রাগের ক্ষোভে আলমগীর হোসেন বিরুদ্ধে আরও ৭ টা মামলা দায়ের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও সরে জমিনে ঘুরে আরও দেখা যায়, ফেনী জেলা পরশুরাম উপজেলা মির্জানগর ইউনিয়নে মহেশ পুস্করনী মৌজা দাগ নং ৬৪, ৭২,৭৩,১৪৬,১৪৭,১৬৫,১৬৯,১৭১,২৭২ এবং বীর চন্দ্র নগর মোৌজায় ৯৯,১১৬,১৫১ নং দাগে প্রায় ১৬০০ শতাংশ জায়গা ধান চাষের উপযোগী থাকায় দীর্ঘদিন যাবত লাগিত করে রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু নাছের জিয়া।
প্রতি৪০ শতাংশ জায়গা স্থানীয় ভাবে ৮ হাজার টাকা। সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা নেন আবু নাছির জিয়া।প্রতি বছর বাঁশ বিক্রি করে দেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেনী জেলা বন বিভাগের এক কর্মকর্তা সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু নাছের জিয়া দূর্নীতির সাগরে বাস করে। তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভাব নেই। তার বিচার আল্লাহ করলে হবে দুনিয়ায় কেউই করতে পারবেনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে সঠিকভাবে তথ্য প্রমান পাওয়া গেলে আইনের আওতা এনে বিচার করা হবে।
এব্যাপারে জানার জন্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু নাছের জিয়াউর রহমান কে ফোন দিলে তিনি বলেন আপনি কে?আমি সাংবাদিক। তিনি বলেন আপনার সাথে আমি সরাসরি দেখা করবো। এ বিষয়ে ফোনে কথা বলা যাবে না। এই কথা বলার সাথে সাথে ফোন কেটে দেন। পরে আরও কয়েকবার কল দিলেও রেঞ্জ কড়মকর্তা আবু নাছের জিয়াউর রহমান কল রিসিভ করে না।