Home » দাগনভূঞায় কুরবানির হাটে ‘বিদ্যুৎ’ এর দাম ৮ লাখ !

দাগনভূঞায় কুরবানির হাটে ‘বিদ্যুৎ’ এর দাম ৮ লাখ !

by আজকের সময়

দাগনভূঞা প্রতিনিধি :
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার আলোচনায় এসেছে বিদ্যুৎ নামের একটি বিশাল আকৃতির গরু। কোরবানিকে সামনে রেখে প্রায় ২৫ মণ ওজনের বিদ্যুতের দাম হাকা হচ্ছে ৮ লাখ টাকা। তবে দাম নিয়ে কড়াকড়ির চেয়ে যারা আদর-যত্ম ও আগ্রহ নিয়ে গরুটি কিনতে ইচ্ছুক তাদের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গরুটির মালিক। এদিকে গরুটিকে দেখতে দূর থেকে মানুষ এসে ভীড় করছে।

মালিক বলছে, গরুটি লালন-পালন করতে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। সবুজ ঘাস ও ভূসিই ছিল বিদ্যুতের প্রধান খাবার। উপজেলা প্রাণী সম্পদ মেলায় প্রথম হয়েছিলো বিদ্যুৎ।

স্থানীয়রা জানান, ব্রাহমা জাতের এই গরুটি দাগনভূঞা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের জগতপুর গ্রামের অলি কন্ট্রাক্টের বাড়ীর গোলাম মাওলা কিনেন প্রায় ২ বছর আগে। গোলাম মাওলা পেশায় একজন গরু খামারী। তিনি গরু গুলো খামারে পালন করলেও বিদ্যুৎকে আলাদা রেখেছেন। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস, ভূসি, কুড়া ও ভুট্টা খাইয়ে লালন-পালন করছেন।

স্থানীয়রা আরও বলেন, বিদ্যুৎকে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার সাবান শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়। খামারি গোলাম মাওলা ও তার পরিবার খুবই যত্মে গরুটিকে পালন করেছেন।

গোলাম মাওলার পরিবারের সদস্যরা জানান, গরুটি শান্ত প্রকৃতির। গরুটি প্রায় সাড়ে ১০ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট ৬ ইঞ্চির উচ্চতা সম্পন্ন এবং ওজন প্রায় ২৫ মণ। এ বছরের কোরবানির ঈদে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের দাম চাওয়া হচ্ছে ৮ লাখ টাকা।

গরুটি দেখতে আসা জুলফিকার আলম বলেন, ‘এই গরুটিকে গোলাম মাওলা ভাই ও তার পরিবারের লোকজন খুব যত্ম করে। আমরা অনেকেই গরুটি দেখতে মাঝে মাঝেই এই বাড়িতে আসি। এত বড় গরু সচরাচর দেখা যায় না।’

গরুটির মালিক গোলাম মাওলা বলেন, ‘প্রায় দুই বছর আগে গরুটিকে কিনেছিলাম। বাড়ি এনে গরুটি পালন করতে থাকি। প্রাকৃতিক সবুজ ঘাস, ভূসি, কুড়া, ভুট্টা আর মটরের খোসা খাইয়েছি এতদিন। আমরা ৮ লাখ টাকা হলে গরুটি বিক্রি করব। তবে গরুটি আদর করে যারা নিতে আগ্রহ দেখাবে দাম একটু কম হলেও তাদেরকেই দেব।’

আরো খবর